নিজের নামে থাকা ব্যাংকের দুটি লকার থেকে ৮৩২ ভরি সোনার গয়না পাওয়ার সরকারি দাবি নাকচ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোনার গয়নার সন্ধান মেলার খবরের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার তিনি বলেছেন, “ব্যাংকের লকারে আমার স্বর্ণ নেই। যেহেতু ওরা বলছে আমার, তাহলে পুড়ে যাওয়া কড়াইল বস্তির মানুষকে দিয়ে দেওয়া হোক।”
বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় শেখ হাসিনা এমন দাবি করেন।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে অগ্রণী ব্যাংকে তার নামে থাকা দুটি লকার ভেঙে স্বর্ণের গয়না উদ্ধারের খবর প্রকাশ করে দেশের বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র। বিভিন্ন সূত্রের বরাতে প্রকাশিত সেসব খবরে স্বর্ণালঙ্কারগুলো শেখ হাসিনার বলে জানানো হয়।
তবে বুধবার সংবাদ ব্রিফিংয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, ওই লকারে থাকা স্বর্ণালঙ্কার শুধু শেখ হাসিনার নয়, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের।
এসব সোনা বৈধ না অবৈধ, সেটা যাচাই-বাছাই করা শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দুদক জানিয়েছে, অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা থাকা দুটি লকারের একটি শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদের নামে, যেটিতে মিলেছে ৪২২ ভরির কিছু বেশি সোনা। অপরটি শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার নামে, যেটিতে ৪১০ ভরি সোনা পাওয়া গেছে।
পূবালী ব্যাংকেও শেখ হাসিনার নামে একটি লকার থাকার কথা জানিয়েছে দুদক। সেখানে পাওয়া গেছে একটি ছোট চটের ব্যাগ। সেটি খালি ছিল।
দুদক বলছে, লকারের রক্ষিত চিরকুট ও বর্ণনা অনুযায়ী স্বর্ণালংকারগুলো শেখ হাসিনা, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ রেহানা ও তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
সোনার মালিকানা সুনির্দিষ্ট করার পর আইনগত দায় নিরূপণ করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
লকার খোলার সময় এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে সরকারের তরফের দাবি করা হয়েছে।
তবে সেখানে শেখ হাসিনার কোনো প্রতিনিধি বা আইনজীবীকে না রাখায়, এবং গভীর রাতে তথ্য প্রকাশের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। কাউকে কাউকে বলতে দেখা গেছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটিও আরেকটি সাজানো ঘটনা।
আবার কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন, নির্বাচনী হলফনামায় শেখ হাসিনা এসব স্বর্ণালঙ্কারের তথ্য উল্লেখ করেছিলেন কি-না।
এ সম্পর্কিত আরও খবর:



