কোন ঘরে কত টনের এসি লাগবে, বুঝবেন যেভাবে

AC

ক্যালেন্ডারের পাতায় গ্রীষ্মকাল এখনও শুরু না হলেও গরম পুরোদমেই পড়ে গেছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলোতে তাপ অসহনীয়ভাবে বেড়ে যায় গ্রীষ্মকালে। তাই এসব অঞ্চলে এসি বা এয়ার কন্ডিশনার এখনকার দিনে বিলাসবস্তুর চেয়ে অনেকটাই যেন প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।

গরম পড়ার শুরুতেই হয়তো ভাবছেন এবার ঘরে একটি এসি লাগিয়ে নিবেন। সে হিসেবে এসি হয়তো এসি কেনার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। এসি কেনার আগে বাজেট, টেকসইত্ব, ক্রয় পরবর্তী সেবা ছাড়াও আরও একটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। আর তা হল ‘টন’।

আপনি হয়তো ‘টন’ শব্দটি বহুবার শুনেছেন। অনেকেই হয়তো এটিকে ওজনের পরিমাপক হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। কিন্তু এসির ক্ষেত্রে এটি ওজন নয়।

তাই এসি কেনার ক্ষেত্রে টন আসলে কী এবং কোন ধরণের ঘরে কত টনের এসির প্রয়োজন রয়েছে সে সম্পর্কে ক্রেতাদের জানা জরুরি। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিষয়গুলো।

এয়ার কন্ডিশনার বা এসির ক্ষেত্রে, ‘টন’ বলতে এর ইউনিটের ওজন বোঝায় না; বোঝায় ঠাণ্ডা করার ক্ষমতাকে।

এটি পরিমাপ করে যে ঘণ্টায়য় কোন স্থান থেকে কত তাপ অপসারণ করা যায়। এসিতে ‘টন’-এর অর্থ, ১ টন কুলিং = প্রতি ঘন্টায় ১২,০০০ ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (বিটিইউ)।

১ টন এসি ঘণ্টায় ১২ হাজার বিটিইউ, ১.৫ টন এসি ১৮ হাজার এবং ২ টন এসি ২৪ হাজার বিটিইউ তাপ অপসারণ করে। এই ধারণা অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় এক টন ২ হাজার পাউন্ডবরফ গলানোর জন্য প্রয়োজনীয় তাপের পরিমাণের সঙ্গে সম্পর্কিত।

শক্তির সাশ্রয়, ঠাণ্ডা করার ক্ষমতা এবং খরচ সাশ্রয়ের কথা মাথায় রেখে এসি কেনার করার সময় সঠিক মডেল নির্বাচন করা অপরিহার্য। কারণ, ঘরের আকারের সঙ্গে এসির কর্মক্ষমতা মানানসই হওয়া উচিত। ছোট ঘর অর্থাৎ১০০-১৫০ বর্গফুট ঘরের জন্য ১ টনের এসি; মাঝারি আকার ঘর ১৫০-২৫০ বর্গফুটের জন্য দেড় টন এবং ২৫০ বর্গফুটের বেশি আয়তনের ঘরের ২ টন বা তার বেশি ক্ষমতার এসি লাগাতে হবে।

বড় ঘরে যদি এসি খুব ছোট হয়, তাহলে ঘর ঠান্ডা হতে বেশি সময় লাগবে এবং বিদ্যুৎ বিল বেশি আসবে। আর যদি এসি খুব বড় হয়, তাহলে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হবে কিন্তু ঘরের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

সঠিক আকারের এসি কম বিদ্যুৎ খরচ করে, ফলে বিল কম আসে। তবে বেশি গরম এবং আর্দ্র অঞ্চলে সামান্য বেশি টনের মডেলের প্রয়োজন হয়। কম ব্যবহৃত এলাকায়, কম টনের এসি ব্যবহার করা ভাল।

আরও পড়ুন