কীভাবে বুঝবেন স্ট্রোক হয়েছে, কী করা উচিত

স্ট্রোকের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল হঠাৎ মুখের এক পাশ বেঁকে যাওয়া বা অবশ হয়ে যাওয়া, হাত বা পায়ে আচমকা দুর্বলতা বা অসাড়তা, হঠাৎ কথা বলতে অসুবিধা বা একদমই না বলতে পারা।
স্ট্রোকের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল হঠাৎ মুখের এক পাশ বেঁকে যাওয়া বা অবশ হয়ে যাওয়া, হাত বা পায়ে আচমকা দুর্বলতা বা অসাড়তা, হঠাৎ কথা বলতে অসুবিধা বা একদমই না বলতে পারা।

মাঝে মধ্যে এমনও শোনা যায় স্ট্রোক হয়েছে অথচ রোগী বুঝতেও পারেননি কী ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। এই স্ট্রোক বা ব্রেনে রক্তসঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে মুহূর্তে জীবনকে ওলটপালট হয়ে যেতে পারে। অথচ সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা গেলে, এই বিপদের প্রাথমিক মোকাবিলা করা কঠিন কিছু নয়।

প্রশ্ন হলো স্ট্রোকের কারণ কী, কিংবা কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হবে? মার্কিন নিউরোসার্জন ব্রায়ান হোফলিঙ্গার সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিও পোস্টে সে বিষয়ে কথা বলেছেন।

ভিডিওতে স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণ এবং সেই সময় কী করা উচিত তা নিয়েও পরামর্শ দিয়েছেন।

হোফলিঙ্গার জানান, “যখন ব্রেনে রক্ত প্রবাহ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় বা কমে যায়, তখন স্ট্রোক হয়। এর ফলে ব্রেনে বেশ কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেন ও পুষ্টির অভাব ঘটে, যা কোষের ক্ষতি করে এবং ব্রেনের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।”

তিনি বলেন, “সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল হঠাৎ মুখের এক পাশ বেঁকে যাওয়া বা অবশ হয়ে যাওয়া, হাত বা পায়ে আচমকা দুর্বলতা বা অসাড়তা, হঠাৎ কথা বলতে অসুবিধা বা একদমই না বলতে পারা, এমনকী হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া বা সম্পূর্ণ হারানো।

হঠাৎ খুব বিভ্রান্ত বা অজ্ঞান হয়ে পড়ার মতো ঘটনা দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন হোফলিঙ্গার।

“স্ট্রোক শরীরের জন্য একটি জরুরি অবস্থা। যদি কারও মধ্যে এই লক্ষণগুলো দেখতে পান, তাহলে এক মুহূর্ত দেরি না করে সরাসরি অ্যাম্বুল্যান্স ডাকুন বা জরুরি চিকিৎসা পরিষেবার সাহায্য নিন।”

ডা. হোফলিঙ্গার বলেন, “সময়ই এখানে সবকিছু। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, তত কম ক্ষতি হয় এবং সেরে ওঠার সম্ভাবনাও বাড়ে। অনেকে অপেক্ষা করেন, ভেবে নেন- ‘দেখি একটু পরে ঠিক হয় কি না’। এই ভুলটি একেবারেই করবেন না।”

স্ট্রোকের অন্যতম বড় কারণ হল হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস।

তিনি বলেন, যারা এই দুটি সমস্যায় ভুগছেন, তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই সময় থাকতেই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান এবং জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনুন- তবেই নিরাপদ থাকা সম্ভব।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads