গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরপরই পরপরই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিছুটা শঙ্কা এবং কিছুটা সতর্কতার সুরে বলেছিলেন, আবার ওয়ান-ইলেভেনের মতো বিরাজনীতিকীকরণের ষড়যন্ত্র হতে পারে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ তো অদৃশ্য, শেখ হাসিনাও দেশে নেই, তাহলে ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য কে? বিএনপি নেতারা ইঙ্গিত করেছিলেন খালেদা জিয়াকে। শেখ হাসিনা আপাতত মাইনাস, এখন খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতে পারলেই হয়। সেকারণেই হয়ত কারামুক্তির পর চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে সময় নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। শেষে গেলেও চার মাস পর ফিরেও এসেছেন।
অভ্যুত্থানের ১০ মাস পর সেই ওয়ান-ইলেভেনের ভূত দেখতে শুরু করেছে এখন অভ্যুত্থানকারী তরুণদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনপিসিপর) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি সম্প্রতি বলেন, দেশে আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের পাঁয়তারা চলছে।
একথা তিনি ফেইসবুকে লিখলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে আসার পরদিনই। তার আগে তিনিই বলেছিলেন, সার্বিক পরিস্থিতিতে অসন্তুষ্ট হয়ে ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন।
নাহিদের ওই কথার প্রতিক্রিয়া আসে নুরুল হক নুরের দল গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনের কাছ থেকে।
তিনি ফেইসবুকে পাল্টা পোস্টে লেখেন, “আজ ১/১১ নিয়ে কথা বলছে, তারা নিজেরাই কি আসলে ১/১১ চায় কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। কারণ, তাদের চারপাশ ঘিরে আছে সেই সময়কার কুশীলবরা। সম্ভবত তাদেরই পরামর্শে এসব আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে।”
তা এই কুশীলব কারা, তাদের নাম রাশেদ প্রকাশ করেননি। তবে পরদিনই ডেইলি স্টারে মন্তব্য প্রতিবেদন লেখেন ইংরেজি দৈনিকটির সম্পাদক মাহফুজ আনাম, যার শিরোনাম ছিল- “Please don’t resign: An appeal to Prof Yunus (দয়া করে পদত্যাগ করবেন না: ড. ইউনূসের কাছে একটি মিনতি)।

এই মন্তব্য প্রতিবেদন স্মরণ করিয়ে দিতে পারে ওয়ান-ইলেভেনের সময় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের লেখা মন্তব্য প্রতিবেদন; যান শিরোনাম ছিল- ‘দুই নেত্রীকে সরে দাঁড়াতে হবে’।
ওয়ান-ইলেভেনের সেই ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’য় ইউনূসেরও যে যোগসূত্র ছিল, তা তখন তার রাজনৈতিক দল গঠনের প্রয়াসে দৃশ্যমান হয়েছিল। কিন্তু তার নামও যে ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার তালিকায়, তা অনেকেরই অজানা।
সেবার অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কম দেখে দায়িত্ব নিতে চাননি ইউনূস, সেই দাবি করেছেন তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ। এবার ইউনূসের নির্বাচনের দিন ঘোষণায় গড়িমসি এবং তাকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় রাখতে অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির প্রচারে নানা ইঙ্গিত খুঁজে পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ওয়ান-ইলেভেন যেভাবে আসে
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মুখে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে যুক্ত হয়। তারপর দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হয়। ১৯৯৬ সালে সাংবিধানিক প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইউনূস উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেছিলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ধাক্কা খায় ২০০৬ সালে এসে। সেবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার কথা ছিল সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাকে না মানার ঘোষণা দেয়।
কারণ হিসাবে আওয়ামী লীগ বলেছিল, এক সময়ের বিএনপি নেতা হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বানাতেই বিচারপতিদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে দিয়েছিল বিএনপি সরকার।
এনিয়ে আওয়ামী লীগ যখন রাজপথ গরম করে তোলে, তখন বিচারপতি হাসান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নিয়ে অপরাগতা জানান। সঙ্কটময় সেই পরিস্থিতিতে ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে উপদেষ্টা নিয়োগ দেন।
তাতে সঙ্কট আরও ঘনীভূত হয়, চলতে থাকে সংঘাত-সহিংসতা। এই পরিস্থিতিতে চারজন উপদেষ্টা আকবর আলি খান, সুলতানা কামাল, হাসান মশহুদ চৌধুরী ও শফি সামি পদত্যাগ করেন।
তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হলে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে রাজনীতিতে। তাদের চাপে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হন।
গঠিত হয় নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তার প্রধান উপদেষ্টা হন সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ। রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন ক্ষমতাহীন হয়ে থাকেন বঙ্গভবনে, আর নেপথ্যে থেকে সরকারসহ রাষ্ট্র পরিচালনা করতে থাকেন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ। সেই কারণে ওই সরকারটিকে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলা হয়।
ওয়ান-ইলেভেনের পর হয়েছিল কী
ওয়ান-ইলেভেনের পরপরই শুরু হয় রাজনীতি ও ব্যবসায়ীদের ধরপাকড়। মার্চ মাসেই গ্রেপ্তার করা হয় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে, বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে।
এরপর খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হন। বলা হয়, তিনি দেশ ছাড়তে রাজি না হওয়ায় তাকে বন্দি করা হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিদেশ যাওয়ার পর বাধা উপেক্ষা করে ফেরার পর তাকে বন্দি করা হয়। সংসদ ভবন এলাকার দুটি বাড়িকে কারাগার ঘোষণা করে দুজনকে রাখা হয় সেখানে।
তার পরপরই ২০০৭ সালের ১১ জুন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ‘দুই নেত্রীকে সরে দাঁড়াতে হবে’ শীর্ষক মন্তব্য প্রতিবেদন লেখেন।

তার মধ্যে দুই দলের ভেতরেই দুই নেত্রীকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়। তাতে উভয় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা যুক্ত ছিলেন। বলা হয়, তাদের চাপ দিয়ে এই পথে নামতে বাধ্য করা হয়েছিল।
বিএনপিতে আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, এম সাইফুর রহমানসহ একটি দল এবং আওয়ামী লীগে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ একটি দল সংস্কারের আওয়াজ তোলেন, তার লক্ষ্য ছিল দল পরিচালনা থেকে খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে বাদ দেওয়া।
তবে সংস্কারপন্থি সেই নেতাদের ‘মাইনাস টু’ বাস্তবায়নের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় দল দুটির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে। চাপের মুখে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই নেত্রীর সঙ্গে সমঝোতায় আসতে বাধ্য হয়।
দুই বছরের মাথায় ২০০৮ সালে নির্বাচন দিয়ে বিদায় নেয় সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এরপর বিদেশে পাড়ি জমান সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ ও সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ।
ইউনূসের যে ভূমিকা ছিল
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয় করে ইউনূস ছিলেন তখন ব্যাপক আলোচিত ব্যক্তি।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় রাষ্ট্রের তৎকালীন পরিচালকদের পৃষ্ঠপোষকতায় যখন একের পর এক ‘কিংস পার্টি’ গড়ে উঠছিল, তখন ইউনূসও নাগরিক শক্তি নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়ায় নামেন।
তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে সংস্কারপন্থি নেতারা কোণঠাসা হয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে রাজনীতির বন্ধুর মাঠে হালে পানি পাননি ইউনূস। তাই এক পর্যায়ে রাজনীতিকে ‘না’ বলে দেন।
পরে এক সাক্ষাৎকারে ইউনূসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি আর কখনও রাজনীতিতে নামবেন কি না? জবাবে তিনি রসিকতাচ্ছলে বলেছিলেন, ন্যাড়া কয়বার বেলতলায় যায়।
তবে ১৭ বছর পর আবার বেলতলায়ই গেলেন ইউনূস; গত বছরের আগস্টে অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন তিনি।
সেবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ফখরুদ্দীন নন, ইউনূসের নামই বিবেচনায় প্রথম ছিল বলে সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ পরে তার লেখা একটি বইয়ে জানান।
মুহাম্মদ ইউনূসকে কেয়ারটেকার সরকার প্রধান করার প্রস্তাব নিয়ে এই ঘটনার বর্ণনা মইন ইউ আহমেদের নিজের লেখা একটি বইতেও আছে।
২০০৯ সালে প্রকাশিত ‘শান্তির স্বপ্নে’ বইয়ে জেনারেল মইন লেখেন, “(২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি) বঙ্গভবনেই প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দীন তাদের দুটো নাম প্রস্তাব করেছিলেন, একজন শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস, অপরজন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ।”

এরপর দায়িত্ব নিতে ইউনূসকে ফোনটি করেছিলেন জেনারেল মইন, তবে ইউনূস দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান।
কেন ইউনূস অস্বীকৃতি জানালেন, তা জানিয়ে মইন উ আহমেদ লিখেছেন, “তিনি বললেন, বাংলাদেশকে তিনি যেমন দেখতে চান, সেরকম বাংলাদেশ গড়তে খণ্ডকালীন সময় যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশকে আরও দীর্ঘ সময় ধরে সেবা দিতে আগ্রহী।”
যার অর্থ, ইউনূস এমন সরকারের দায়িত্ব চেয়েছিলেন, যার মেয়াদ হবে দীর্ঘ।
এরপর সেনাবাহিনীর তখনকার প্রভাবশালী কর্মকর্তার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাসুদউদ্দীন চৌধুরী কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা এবং জওয়ানকে নিয়ে ইউনুসের বাসায়ও গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে রাজি করাতে পারেননি। ফলে বিকল্প হিসেবে ফখরুদ্দীন চলে আসেন সামনে।
২০১৮ সালে লেখক-গবেষক মহিউদ্দীন আহমেদের একটি লেখায় প্রসঙ্গটি পুনরায় উঠে আসার পর বিবিসি বাংলা তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সেই লেখায় মহিউদ্দীন আহমেদ দুজন সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে লিখেছিলেন, মুহাম্মদ ইউনুস কেয়ারটেকার সরকার প্রধান হওয়ার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার প্রধান কারণ ছিল এই সরকারের স্বল্প মেয়াদ।
ওয়ান-ইলেভেন নিয়ে গবেষণার অংশ হিসেবে জেনারেল মইন উ আহমেদ এবং ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফজলুল বারীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে লেখাটি লিখেছিলেন মহিউদ্দিন।
তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এই সাক্ষাৎকারে তারা জানিয়েছেন, কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান করার প্রস্তাব নিয়ে তারা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে যান, কিন্তু তিনি এত অল্প সময়ের জন্য কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান হতে চাননি।”
তবে তখন ইউনূস এক বিবৃতিতে এই ধরনের কথা অমূলক বলে উড়িয়ে দেন। তিনি ইউনূস সেন্টারের মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, “সেনাবাহিনীর প্রস্তাবে আমি কেন রাজি হইনি, এ বিষয়ে যে কারণ তারা উল্লেখ করেছেন, তা একেবারেই কল্পনাপ্রসূত। একেবারে হদ্দ বোকা না-হলে একজন অরাজনৈতিক বেসামরিক ব্যক্তি সেনাবাহিনীর নিকট তাকে দীর্ঘমেয়াদের জন্য একটি সরকারের প্রধানের পদে রাখার এরকম আবদার করার কথা কখনো চিন্তা করতে পারবে না।”
বিবৃতিতে ইউনূস বলেছিলেন, ২০০৭ সালের ১০ই জানুয়ারি বিকালে তিনি তৎকালীন সেনাপ্রধানের কাছ থেকে প্রথম টেলিফোন পান। তাকে বলা হয়, দেশকে বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে রক্ষা করতে সেনাবাহিনী একটি নতুন কেয়ারটেকার সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তারা তাকে সেই সরকারের প্রধান করতে চান। তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং অন্য কাউকে খুঁজে নিতে বলেন।
তার পরপরই জেনারেল মাসুদউদ্দীন দেখা করতে তার বাসায় এসেছিলেন জানিয়ে ইউনূস বলেন, “যেহেতু সাক্ষাৎ করতে না করার কোনো উপায় ছিল না, আমি তাকে ৮টায় (রাত) আসতে বললাম।
“জেনারেল মাসুদ ব্রিগেডিয়ার আমিন ও পাঁচ-ছয়জন জওয়ানসহ গ্রামীণ ব্যাংক কমপ্লেক্সে আমার বাসভবনে এলেন। তারা নিজেদের পরিচয় দিলেন এবং অত্যন্ত বিনীতভাবে তাদের আসার উদ্দেশ্য জানালেন। আমি আমার অপারগতার কথা যতবারই বলতে থাকলাম, তারাও তত বেশি বিনয়ী ও নাছোড়বান্দা হতে থাকলেন।”
যেকথা মইন উ আহমেদের বইয়েও লেথা রয়েছে, সেই বিষয়ে নয় বছর পর ইউনূসের বিবৃতি দিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার ঘটনাটি কৌতূহলের বলে তখন বিবিসি বাংলার কাছে মন্তব্য করেছিলেন মহিউদ্দিন।
“মুহাম্মদ ইউনুস যে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান হতে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছিলেন, সেই কথা বহুদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনায় আছে। জেনারেল মইন ইউ আহমেদের লেখা বইতেও এর উল্লেখ আছে। এ বিষয়টা কিন্তু পাবলিক ডিসকাশনে ছিল। গুঞ্জন হিসেবেই হোক, যেভাবেই হোক। অধ্যাপক ইউনুস কেন এত বছর পর মুখ খুললেন, আমি জানি না। তবে এই প্রথম এই বিষয়ে আমরা তার বক্তব্য পেলাম। এখন কে ঠিক বলছেন, কে বলছেন না, সেটা বিচার করা মুশকিল।”