বাংলাদেশকে ‘দূরে সরায়নি’ ভারত, ‘কাছে টানছে’ মালদ্বীপকে?

Yunus-Modi-India Budget

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপর সহিংসতার ঘটনার প্রেক্ষিতে দৃশ্যত টানাপড়েন চলছে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে। অন্তবর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা রীতিমত হুমকিও দিয়েছিলেন দেশটিকে।

সীমান্তে কাটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যেও।

তবে দুই দেশের সম্পর্ক যাই হোক বাংলাদেশকে দেওয়া উন্নয়ন সহযোগিতার বরাদ্দে কাটছাঁট করেনি মোদী সরকার। গত অর্থবছরের সমপরিমাণ বরাদ্দই বাংলাদেশের জন্য রাখা হয়েছে দেশটির বাজেটে। তার মানে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মতোই ১২০ কোটি টাকা পাচ্ছে আগামী অর্থ বছরেও।

শনিবার ভারতে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে বাজেট পেশ করেন দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

বাংলাদেশের বরাদ্দ অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে মালদ্বীপের উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ। ২০২৪ সালে মালদ্বীপের উন্নয়নে সাহায্যের পরিমাণ কমিয়েছিল ভারত। এবার সেই বরাদ্দ ২৮ শতাংশ বাড়িয়েছে।

চীন ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত মোহাম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পরই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হয় এই দ্বীপরাষ্ট্রের। সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নিতে বলেছিল মুইজ্জু সরকার। তখন দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন বৃদ্ধি পায়। এর পরই মালদ্বীপের বরাদ্দ কমিয়ে দেয় মোদী সরকার।

তবে মালদ্বীপের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক মসৃণ হচ্ছে ভারতে। এরই প্রভাব পড়েছে এবারের বাজেটে।

২০২৫-২৬ অর্থ বছরে মালদ্বীপের উন্নয়নের জন্য ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে মালদ্বীপকে ৪৭০ কোটি টাকা সাহায্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। যদিও ২০২৪ সালের অন্তবর্তী বাজেটে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রকে।

অন্য দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাহায্য প্রস্তাব করা হয়েছে ভুটানের জন্য। ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে ২,১৫০ কোটি টাকা সাহায্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

নেপালের জন্য ৭০০ কোটি টাকা সাহায্য প্রস্তাব করা হয়েছে। আর  শ্রীলঙ্কার জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।

চলতি অর্থ বছরে মরিশাসকে ৫০০ কোটি টাকা সাহায্য বরাদ্দ করা হয়েছে। আর আফগানিস্তানকে দেওয়া হচ্ছে ১০০ কোটি টাকার সাহায্য।

এছাড়া আফ্রিকার দেশগুলোকে ২২৫ কোটি, মঙ্গোলিয়াকে ৫ কোটি, মিয়ানমারকে ৩৫০ কোটি টাকা সাহায্য প্রস্তাব করা হয়েছে চলতি বাজেটে।

বিদেশি সাহায্য বাবদ মোট ৫ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় কম। গতবছর বিদেশি বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন