ভারতের পর্যটন শিল্পের আকার আগামী দশ বছরে দ্বিগুণ বেড়ে ৫২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের খাতে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের (ডব্লিউটিটিসি) প্রেসিডেন্ট ও সিইও জুলিয়া সিম্পসন এমনটাই মনে করেন।
ডব্লিউটিটিসি ভ্রমণ এবং পর্যটন শিল্পের বিষয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে কাজ করে এবং এই খাতের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবদান দেখভালের বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে পরিচিত।
সম্প্রতি পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জুলিয়া সিম্পসন বলেন, “ভারতে ভ্রমণ এবং পর্যটন খাতে সাড়ে চার কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং এর আকার দ্বিগুণ হতে চলেছে। ২৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের এই খাত দশ বছরের মধ্যে দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ৫২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের খাতে পরিণত হতে চলেছে।
“দশ বছরে ভারতের পর্যটন খাতে ৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ভারতের অর্থনীতিতে পর্যটন খাতের অবদান প্রায় সাত শতাংশ।”
গ্রিন হাউজ নির্গমনের দিক থেকে ভারতের পর্যটন খাত যুক্তরাষ্ট্র চীনের পরই অবস্থান করছে।
ভারতের মোট গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনের মধ্যে প্রায় শতাংশ হয় এই পর্যটন খাতে। অর্থ্যাৎ বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি কিলো কার্বন নিগর্মন হয় ভারতের পর্যটন খাত থেকে।
তবে জুলিয়া সিম্পসন বলছেন, ভারতের যে হারে পর্যটন খাত বাড়ছে, সেই তুলনায় কার্বন নির্গমনের হার বাড়ছে না। যা একটি ভালো লক্ষণ। এর মানে ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত গন্তব্য হয়ে উঠেছে ভারত।
টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটন নিশ্চিত করতে ভারতের মন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেটের মতো ইভেন্টে অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন বিষয়টি উত্থাপন করা হয় বলেও জানান তিনি।
এনডিটিভি অবলম্বনে