যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লেবাননে হামলার পাশাপাশি একই সময়ে গাজা ও ইয়েমেন কেঁপেছে ইসরায়েলি বাহিনীর আঘাতে।
গত শুক্রবার রাত থেকে এসব হামলা শুরু হয়, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা হয়েছে ইয়েমেনে।
ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের নিশানা করে বিমান ও ড্রোন দিয়ে হামলা করা হয় শুক্রবার। হামলা হয়েছে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও একটি সমুদ্রবন্দরেও।
অবশ্য ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা জবাবে এসব হামলা চালিয়েছে তারা।
এতে ২০টির বেশি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান ইসরায়েলের একজন সামরিক কর্মকর্তা।
এদিকে, ইয়েমেনে হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইয়েমেনে একের পর এক পাশবিক হামলার হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে তেহরান।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। যদিও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর একটি অস্ত্রের ট্রাক নিশানা করে ওই হামলা চালায় তারা।
লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র এএফপিকে বলেছে, ড্রোন দিয়ে চালানো ওই হামলায় একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
শনিবার বিকেল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবার রাতভর গাজাজুড়ে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। বেশির ভাগ হামলা হয়েছে আবাসিক এলাকায়। বিমান হামলার পাশাপাশি গাজার বিভিন্ন স্থানে স্থলপথে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা।