জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি সরকার মেনে নিয়েছে বলে আশ্বস্ত করার পর রাতে অনশন ভেঙেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
অবশ্য দাবি পূরনের স্পষ্ট আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা। তাদের ভাষ্য, যক্তক্ষণ লিখিত ঘোষণা না আসবে, ততক্ষণ অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কাকরাইল মসজিদের মোড়ে আন্দোলনস্থলে এসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ দাবি পূরণের কথা শিক্ষার্থীদের জানান।
এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। সরকারের পক্ষ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সেগুলো উল্লেখ করেন তিনি।
- বেনজীরের ডক্টরেট ডিগ্রিকে ‘বিশ্রামে’ পাঠাল ঢাবি কর্তৃপক্ষ
- এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষার নতুন তারিখ
- গভীর রাতে মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা
- চিকিৎসকদের বিশেষ বিসিএসে ৫ হাজার ২০৬ জন উত্তীর্ণ
উপাচার্য রেজাউল করিম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আবাসন–সংকটের কথা ভেবে খুব দ্রুত অস্থায়ী হল নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নে সবকিছু করা হবে।
এসব ‘প্রতিশ্রুতির’ পর শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙলেও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। অবশ্য পরে তারা কাকরাইল ত্যাগ করেন।
আবাসন বৃত্তি চালু, পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ চার দাবিতে এদিন বিকালে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অনশনে বসেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
গত দু’দিন ধরেই কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে দাবি আদায়ে কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, যাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন শিক্ষকরা।
এ ছাড়া সাবেক শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে যোগ দেন বৃহস্পতিবার।






