সাক্ষাৎকার

জামায়াত কোনো মৌলবাদী দল নয়, সাক্ষাৎকারে কাদের সিদ্দিকী

আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিচিত ছিলেন বাঘা সিদ্দিকী নামে। পরবর্তীতে পেলেন বঙ্গবীর উপাধি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই অনুগামী যুদ্ধের সময় গড়ে তুলেছিলেন কাদেরিয়া বাহিনী। আওয়ামী লীগের এই সাবেক নেতার এখন রয়েছে নিজের দল; কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। সাক্ষাৎকারে তিনি একদিকে যেমন বলেছেন বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করার কথা, তেমনি বলেছেন জামায়াতে ইসলামীকে মৌলবাদী দলের তকমা দিতে তিনি রাজি নন। আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘হাসিনা লীগ’ বলে তিরস্কার করতেও ছাড়েননি আলাপে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের বাইরে বেশিরভাগ মানুষ বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবীর শব্দ দুটির সঙ্গে পরিচিত। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ময়দানে অস্ত্র হাতে লড়াই করেছেন স্বাধীনতার জন্য। ১৯৭১-এ অর্জিত সেই স্বাধীনতা আজ কেমন আছে? আপনার চোখে স্বাধীনতার আজকের ছবিটা কেমন।

কাদের সিদ্দিকী: দেশে বিদেশে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার নাম উচ্চারিত হয় কখনওসখনও শুনেছি। কিন্তু আপনার মতো করে এর আগে তেমন কেউ বলেননি। ’৭১-এ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম আপামর বাঙালির মুক্তির জন্য। বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য স্বাধীনতা আমরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছি। তবে যে আশা আকাঙ্খা ও চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে তা অনেকটাই ভিন্ন পথে ধাবিত হয়েছে। স্বাধীনতার আজকের ছবিটা খুব সুখপদ নয়। নেত্রী শেখ হাসিনার ভুল সিদ্ধান্তে এবং মানুষকে মূল্য না দেওয়া, মূল্যায়ন না করা, সবাইকে শত্রুর কাতারে ফেলা আজকের এই পরিণতি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে আজ সংবিধান বদলের দাবি উঠেছে। চলতি সংবিধানের অংশ হল ১৯৭১-এর ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটিও। সেই সংবিধান বদলের দাবিকে আপনি কী চোখে দেখছেন?

কাদের সিদ্দিকী: একটি দেশের সংবিধান কোন ছেলেখেলা নয়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের রাফ খাতাও নয়। তদুপরি বাংলাদেশের সংবিধান লক্ষ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। এই সংবিধানে অনেক নোংরা হাত পড়েছে। তাতে কিছু না কিছু কলঙ্কিত হয়েছে। তবে সেই সংবিধানের অংশ বিশেষ বদল করতে হলেও জনগণের সম্মতি দরকার। সম্পূর্ণ সংবিধান বদল করা আইনত রাষ্ট্রের পক্ষেও সম্ভব না।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান নয়। আপনি কি এখনও জয় বাংলা স্লোগান দেন? সরকারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?

কাদের সিদ্দিকী: জয়বাংলা স্লোগান বহু পুরনো। আজকের নয়। সেই বঙ্গভঙ্গ রোধ আন্দোলনেও জয়বাংলা স্লোগান ব্যবহার করা হয়েছে। বিপ্লবী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে জয়বাংলার অমোঘ শক্তি খুঁজে বের করেছিলেন। ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাকামী সকল বাঙালি জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। আপনার প্রশ্ন আমিও কি এখনো জয়বাংলা স্লোগান দিই? তেমন উৎসাহ নিয়ে বুকফাটা চিৎকারে জয়বাংলা স্লোগান দিতে পারিনা। এক সময় জয়বাংলা ছিল স্বাধীনতার স্লোগান, মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান। কিন্তু পতিত সরকার জয়বাংলাকে শুধুই তাদের দলীয় স্লোগান বানাবার চেষ্টা করেছে। তাতে হিতে বিপরীত হয়েছে। অথচ জয়বাংলা বাঙালি ও বাংলাদেশিদের মুক্তির স্লোগান। যেটা এখন পশ্চিমবঙ্গে অহরহ শোনা যাচ্ছে। মুলত, জয়বাংলা শ্বাশত বিজয়ের স্লোগান। এখানে কারও বলা কওয়ায় কিছু যায় আসে না। 

প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু ধানমণ্ডির বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৫ অগাস্ট ওই বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে আপনার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই পরিস্থিতি কেন তৈরি হল। আপনি হামলাবাজদের কী চোখে দেখেন?

কাদের সিদ্দিকী: শেখ হাসিনার পতনে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে এক নতুন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে আমরা অনেকেই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পতন চেয়েছি। এত নিষ্ঠুর অগণতান্ত্রিক পন্থায় তিনি সব ধরণের আন্দোলনকে দমাবার চেষ্টা করেছেন যা ভাবা যায় না। তার তল্পিবাহক ছাড়া কাউকেই তিনি মানুষ বলে মনে করতেন না। সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ষড়যন্ত্র বলে ভাবতেন। মানুষ ক্ষুদ্ধ হতে হতে শেষ সীমায় পৌঁছে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের চরম অসন্তুষ্টি শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে। সেইখানে অনেক জ্বালাও পোড়াও হয়েছে। তাতে ৩২ নম্বরের ধানমণ্ডির বাড়ি নিদারুণভাবে পুড়ে ছারখার করা হয়েছে। এতে বৈষম্য বিরোধীদের কোন ইন্ধন আছে এটা আমি বিশ্বাস করিনা। তবে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি এবং জাদুঘর পুড়ে ছারখার করায় দেশবাসী খুবই মর্মাহত। এর যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের খুঁজে বের করে বিচার না করলে ভাবীকালে ইতিহাসের বিচারে অনেকেই কলঙ্কিত হবেন।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের অনেকেই মনে করছেন দেশ মৌলবাদীদের দখলে চলে যাচ্ছে। আপনার কী মনে হয়? আপনি কি মনে করেন বাংলাদেশকে সব ধরনের অনাচার মুক্ত করতে ফের একটি মুক্তি সংগ্রামের ডাক জরুরি।

কাদের সিদ্দিকী: বাংলাদেশ একটি অসম্প্রদায়িক জনগোষ্ঠীর সমাহার। এখানে মৌলবাদের কোন স্থান নেই। মৌলবাদের চেষ্টা থাকতে পারে কিন্তু শেকড় গারতে পারবে না। আমি মুসলমানের ঘরে জন্মেছি। আমার শিক্ষক আমার গুরু নিম্নবর্গের হিন্দু। এরকম নজির লক্ষ কোটি। তাই বাংলাদেশে মৌলবাদ প্রতিষ্ঠা হওয়া বড় দুস্কর। জামাতে ইসলামকেও আমি মৌলবাদী দল মনে করি না। তারা পুরোপুরি মৌলবাদী হলে তাদের পতন কেউ ঠেকাতে পারবে না।

প্রশ্ন: আপনি শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সৈনিক ছিলেন। আপনি কি মুজিববাদকে এখনও হৃদয়ে ধারণ করেন?

কাদের সিদ্দিকী: আমি আজীবন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন বিশ্বস্ত রাজনৈতিক কর্মী। আগে যেমন ছিলাম, এখনও আছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমার নেতা। তাকে বুকে ধারণ এবং লালন করেই বাকী জীবন চালিয়ে যাব। ছেলেবেলোয় আমি একজন অপদার্থ ছিলাম। আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী যখন চিৎকার করে আয়ুব মোনায়েম বিরোধী বক্তৃতা করতেন আমি তখন ভয়ে কাঁপতাম। জনতার মাঝে মুখ ঢেকে লুকাবার চেষ্টা করতাম। মাঝে মাঝে ভাবতাম, লতিফ সিদ্দিকীর এত সাহস, আমি অত ভীরু কেন? আমরা তো একই মায়ের গর্ভজাত, একই পিতার ঔরসের সন্তান তবে কেন আমি এমন। ধীরে ধীরে আস্তে আস্তে লতিফ সিদ্দিকীকে দেখে স্লোগান দিতে শিখেছিলাম। দেয়ালে পোস্টার লাগাতাম। এসব করে করে কিছুটা ভয় কাটে। ১৯৫৭ সালে কাগমারী মহা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পরিচয় হয় শেখ মুজিবের সঙ্গে। তারপর বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পাই। কত নেতা আনন্দে হাওয়ায় ভেসে বেড়াত। অথচ শেখ মুজিব কারাগারে কারাগারে ফিরত। এমনিতেই তার প্রতি কেমন যেন একটা স্বর্গীয় ভালবাসার সৃষ্টি হয়। বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীকে দেখে রাজনীতিতে পা না বাড়ালে আমি হতাম গরুর রাখাল অথবা রিকশ চালক। রাজনীতিতে এসে শেখ মুজিবকে ভালবাসতে শিখেছিলাম। বাংলার যুবক যুবতী তেমন কেউ নেই যে বা যারা যৌবনে প্রেম করেনি। আমি কখনও কোন নারীর প্রেমে পড়িনি, বুঝিওনি। সে অনুভূতি আমার মধ্যে কোনদিন জাগেনি। শেখ মুজিবকে ভালবেসে বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে দেশ মাতৃকাকে ভালবাসতে শিখেছিলাম। বঙ্গবন্ধুই আমার ভালবাসা, বঙ্গবন্ধুই আমার প্রেম। আজ আমি কোথাও মাটিতে হাত রাখলে অনুভব করি, আমি যেন আমার মাকে স্পর্শ করেছি। অনেক কিছুই হয়তো মুখে বলা যায় কিন্তু হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে সময় লাগে, সাধনা করতে হয়। তাই শেখ মুজিব আমার ধ্যান জ্ঞান সাধনা, হৃদয়ের মণিকোঠায় বিরাজমান। আর যতদিন বাঁচব ততদিন তিনি আমার দেহ মন অস্তিত্বে বিরাজ করবেন।

প্রশ্নশেখ হাসিনার ভুলগুলি কী ছিল বলে আপনি মনে করেন?

কাদের সিদ্দিকী: বললে কেমন হবে কীভাবে কে নেবে জানিনা। গত ২৫ বছর আওয়ামী লীগ ছেড়েছি। এক মুহূর্তের জন্যে বঙ্গবন্ধুকে ছাড়ি নাই। নেত্রী হাসিনা বড় অহঙ্কারী। নিশ্চয়ই যতক্ষণ আওয়ামী লিগের নেতা ছিলেন ততক্ষণ তার অন্য দলকে ছোট করা অপ্রিয় করার জন্যে নানা কথা বলার সুযোগ ছিল। কিন্তু সরকার প্রধান হবার পর তা তার ছিল না। তিনি যেমন আওয়ামী লিগের প্রধানমন্ত্রী, তেমনি বিএনপিরও প্রধানমন্ত্রী, তিনি জামাতেরও প্রধানমন্ত্রী। এমনকি তার দলের সঙ্গে অমিল হওয়ায় আমরা যে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেছি তিনি আমাদেরও প্রধানমন্ত্রী। আমাদের মান সম্মান জীবন সবকিছুর দায়িত্ব তার। তিনি এক মুহূর্তের জন্যেও অন্যের মান সম্মানের প্রতি, জীবনের প্রতি কোনও নজর বা দৃষ্টি দেননি। তার সাড়ে ১৫-১৬ বছর শাসনের সময় প্রয়োজন ছিল বঙ্গবন্ধুকে দেশবাসীর কাছে আরও প্রিয় করে তোলা, সার্বজনিন করে তোলা। তা তিনি করেননি। বরং এমন একজন বিশ্ববিখ্যাত নেতাকে দলীয়, অনেক ক্ষেত্রে দলীয়ও নয়, পারিবারিক মানুষ তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। বঙ্গবন্ধু দেশের পিতা, কিন্তু নেত্রী শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত তাকে তার পিতাও বানাতে পারেননি। আমার কথা ছেড়েই দিন, তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর প্রিয়জনদের যথা ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রফিক উল হক, এবিএম মুসা, জোহরা তাজউদ্দীন, জননেতা আব্দুল মান্নান, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ, সিরাজুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদসহ আরও এ ধরনের অনেককে অসম্মান ও লেজ কাটার চেষ্টা করেছেন। তার পতন দেশবাসীর অসন্তুষ্টির কারণ। সমগ্র দেশবাসীকে এতটা অসন্তুষ্ট করে কেউ কখনও শাসন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনা, ভবিষ্যতেও পারবে না।

প্রশ্ন: আওয়ামী লীগকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে কী করণীয় বলে মনে করেন?

কাদের সিদ্দিকী: আওয়ামী লীগ আর হাসিনা লীগ এক কথা নয়। শেখ হাসিনার শাসনকাল সেটা হাসিনা লীগের শাসন। সামগ্রিক অর্থে আওয়ামী লিগের শাসন নয়। বাংলাদেশে আর কখনও এমন একক স্বৈরাচারী নেতৃত্ব কেউ দেখেনি। আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কী পারবে না, পারলে কতটা পারবে প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ।

প্রশ্নবাংলাদেশের চলতি পরিস্থিতিতে কি শত্রুতা ভুলে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির একে অপরের হাত ধরা দরকার? কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির সংঘাত বাড়ছে। মাইনাস টু ফরমুলা নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি।

কাদের সিদ্দিকী: সত্যিই রাজনীতি বড়ই কঠিন। সেটাকে খারাপও করা যায় আবার মধুময়ও করা যায়। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির দুরত্ব কোথায় আমি খুব একটা স্পষ্ট করে বলতে পারব না। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বকারী দল আর বিএনপির প্রধান একজন শ্রেষ্ঠতম মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা নিয়ে তথাকথিত হাসিনা লীগ যে পরিমাণ সমালোচনা করেছে শত বছর পরও ইতিহাসে সেটা দেখা যাবে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অংশগ্রহণ এবং তার কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা জাতিকে উৎসাহিত করেছে। এমনকি যুদ্ধের এক সময় আমি বঙ্গবীর হয়েছি, টাইগার সিদ্দিকী হয়েছি, আমাকেও অনুপ্রাণিত করেছেন। তাই একই স্রোতধারায় ধাবমান এক দল যোদ্ধা, এক দল স্বাধীনতা প্রেমী কী করে দ্বিধাবিভক্ত হল আমি ঠিক জানি না। মাইনাস-টু ফরমুলা আছে, না নেই তাও বলতে পারব না। কারণ যড়যন্ত্রের চোরাগলি আমি কোনদিন মারাইনি। আল্লাহ রসুলের প্রতি ভরসা রেখে সারাজীবন জনগণকে বিশ্বাস করে এগিয়েছি। আর যেটুকু সময় বেঁচে থাকব সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলেই বেঁচে থাকব। আমি মন প্রাণ হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করি, সম্মান দেওয়ার মালিক আল্লাহ, সম্মান নেওয়ার মালিক আল্লাহ।

প্রশ্ন: নির্বাচন কতদিনের মধ্যে হওয়া দরকার বলে আপনি মনে করছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আপনার প্রত্যাশাগুলি কী কী?

কাদের সিদ্দিকী: আমাদের দেশে যত জট যত সমস্যা তার অর্ধেকের বেশি নির্বাচন কেন্দ্রীক। সাধারণ মানুষের একবেলা না খেয়ে থাকলে দুঃখ নেই। কিন্তু তারা ভোটাধিকার চায়, ভোট দিতে চায়। সেটা যে যখন প্রতিহত করেছে বা বাধার সৃষ্টি করেছে সে তখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে যারা করবেন তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। রাস্তাঘাটে মানুষের যে মনোভাব তাতে নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের পরে যাওয়া কোনক্রমেই উচিত হবেনা। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তীকালীন সরকার মানুষের ইচ্ছা পূরণে সরকারি প্রভাবমুক্ত অবাধ নিরপেক্ষ বিশ্বাসযোগ্য একটি জাতীয় নির্বাচন দেশকে উপহার দিতে পারলে হাজার বছর তারা স্মরণীয় বরণীয় হয়ে থাকবেন।

সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দ্য ওয়ালের নির্বাহী সম্পাদক অমল সরকার

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

300banner