বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল যে দলটি, যাদের বিরুদ্ধে জাতির সূর্য সন্তানদের হত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ, সেই জামায়াতে ইসলামী শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি রেখেছে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সিনিয়র প্রচার-সহকারী মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দলটির ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে ‘যুব র্যালী ম্যারাথন- রাজপথে বিজয়ে’ এমন স্লোগানে একটি কর্মসূচির কথা থাকলেও সেটি কবে তা-র উল্লেখ নেই।
সংবাদ জানানো হয়েছে, আগামী ১৪ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার কৃষিবিদ হলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিতব্য এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার।
দলটির নেতাকর্মীরা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যাবে কি না তা ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
দীর্ঘ নয়মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির বিজয় যখন আসন্ন, তখনই ১৪ ডিসেম্বর ঘটে ইতিহাসের সেই নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড। আর এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেছিল বাংলাদেশেরই পাকিস্তানি দোসর রাজাকার, আলবদর বাহিনী।
এরাই ঘাতক সেনাদের নিয়ে গিয়ে চিনিয়ে দিয়েছে বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি। চিনিয়ে দিয়েছে সেই নিরীহ মানুষগুলোকে। যাদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান মানুষ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিরোধিতা করা, এবং মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে পাক হানাদারদের সহযোগী হিসেবে হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য জামায়াতে ইসলামী দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৪ পেরিয়ে গেলেও ক্ষমা চায়নি।
আশির দশকে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে নিষিদ্ধ থাকা দলটি রাজনীতি করার সুযোগ পায়।



