ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে তৈরি ‘ইমার্জেন্সি’ চলচ্চিত্রটি দেখতে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর নাতনী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে অনুরোধ জানিয়েছেন সিনেমার পরিচালক কঙ্গনা রানৌত।
ওই প্রস্তাব প্রিয়াঙ্কা ‘বিনয়ের সঙ্গে’ গ্রহণ করেছেন বলে ভাষ্য কঙ্গনার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, অভিনেত্রী ও বিজেপির এমপি কঙ্গনার প্রথম পরিচালিত সিনেমাটি রাজনৈতিক, প্রয়োজনার গুরু দায়িত্বও নিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই। এছাড়া সিনেমায় ইন্দিরার চরিত্রের রূপায়নও করেছেন কঙ্গনা।
সিনেমাটি মুক্তি পেতে চলেছে ১৭ জানুয়ারি, এরি মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার টিজার-ট্রেইলার। যে দুই ঝলক ইন্দিরার রাজনৈতিক জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ের খণ্ড চিত্র সামনে এনেছে।
কঙ্গনা বলেছেন, কদিন আগে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে কঙ্গনার দেখা হয়েছে , সংসদ ভাবনে ।
“প্রথমেই তাকে বললাম, আমি আপনার ঠাকুরমা মিসেস গান্ধীকে নিয়ে সিনেমা বানিয়েছি, নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইমার্জেন্সি’। উনি শুনে অবাক হয়ে গেলেন। আপনার কিন্তু ইমার্জেন্সি দেখা উচিত। এটা শুনে ভদ্রতার সঙ্গে তিনি বললেন হুম। দেখা যাক।”
“আমি তাকে বলেছি, এই সিনেমা আপনার পছন্দ হবে।”
কঙ্গনার ভাষ্য, “প্রিয়াঙ্কা বলেছেন ১৯৭৫ সালে ইন্দিরার জারি করা জরুরি অবস্থা নিয়ে তিনি এমন কিছু তথ্য দিতে পারেন, যা আমার জানা নেই।”
প্রিয়াঙ্কা ইন্দিরার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানার জন্য ক্যাথরিন ফ্রাঙ্কের বইয়ের কথা কঙ্গনার কাছে বলেছেন। আর কঙ্গনা বলেছেন, তিনি পুপুল জয়কারের আত্মজীবনী থেকে ইন্দিরা বিষয়ে তথ্য নিয়েছেন।
গান্ধী-নেহরু পরিবারের সবাইকে সিনেমাটি দেখতে কঙ্গনা আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানাবেন কী না সে প্রশ্নের উত্তরে কঙ্গনা রানৌত বলেন, “আগে দেখা যাক, তারা সিনেমাটি দেখতে চান কী না।”
সিনেমায় ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্র নিয়ে কঙ্গনা বলেন, “এই সিনেমায় আসলে মিসেস গান্ধীর খুবই স্পর্শকাতর অধ্যায় এবং একজন ব্যক্তিত্বকে তুলে ধরা হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রকে সম্মান ও যত্নের সঙ্গে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।”
সিনেমায় কঙ্গনা ছাড়াও দেখা যাবে অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়াস তালপাড়ে, বিষক নায়ার, সতীশ কৌশিকসহ একাধিক অভিনয়শিল্পীকে।
কঙ্গনা শুরু থেকে বলে আসছেন, ‘ইমার্জেন্সি’ কোনো বায়োপিক না, এটি একটি রাজনৈতিক সিনেমা। সিনেমার পটভূমি গত শতকের সত্তরের দশক, ভারতে তখন ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে পরবর্তী ২১ মাস ভারতে জরুরি অবস্থা চলে। সিনেমায় সেই সময়ের রাজনৈতিক আবহ তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে বলে কঙ্গনার ভাষ্য।
১৭ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে ‘ইমার্জেন্সি’। আর এর মধ্যে দিয়ে এই সিনেমা নিয়ে তিন বছরের সফর শেষ হতে চলেছে কঙ্গনার।