কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত হয়েছে; বেঁচে গেছে রাশিয়াগামী ওই বিমানের বাকি আরোহীরা।
আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের জেটু-৮২৪৩ ফ্লাইটটি ৬৭ জন আরোহী নিয়ে বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনি যাচ্ছিল। বিমানের বেশিরভাগ আরোহীই আজারবাইজানের। তবে রাশিয়া, কাজাখস্তান ও কিরগিজস্তানের কিছু যাত্রী ছিলেন।
বুধবার ওই দুর্ঘটনার পর বিমানটির ব্ল্যাকবক্স রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ারলাইনটির কর্মকর্তারা।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডারটোয়েন্টিফোর থেকে জানা যায়, বিমানটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে বুধবার গ্রিনিচ সয়য় ৩টা ৫৫ মিনিটে উড্ডয়ণ করে এবং ৬টা ২৮ মিনিটের দিকে কাজাখ শহর আকতাউয়ের কাছে জরুরি অবতরণ চেষ্টার সময় আগুন ধরে যায়।
গ্রোজনিগামী বিমানটি কুয়াশার কারণে অন্যদিকে মোড় নিতে বাধ্য হয় বলে এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ফুটেজে দেখা যায়, ল্যান্ডিং গিয়ার নামিয়ে দ্রুতগতিতে মাটির দিকে নেমে আসার সময় আগুন ধরে যায় বিমানটিতে।
কাজাখ শহর আকতাউ থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বিমানটি ‘জরুরি অবতরণ করে’ বলেও জানিয়েছে আজারবাইজান এয়ারলাইন।
তবে রাশিয়ার গণমাধ্যমের একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, বিধ্বস্তের আগে বিমানটির কোনো পাখির ঝাঁকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়ে থাকতে পারে।
এ দুর্ঘটনার অনুসন্ধানকালীন বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনি ও মাখাচকালার মধ্যে বিমান চলাচল বন্ধ থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে এয়ারলাইনটি।
নিহতদের মধ্যে এক নারী রয়েছেন তিনি সন্তানদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে চেচনিয়া যাচ্ছিলেন। আরেক নারী নিখোঁজ যিনি সন্তানের চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন।
আরেক তরুণী পাগলের মতো খুঁজে চলছেন তার বাবাকে যিনি ওই বিমানটিতে ছিলেন। তিনি জীবিত নাকি মৃত তা এখনও জানেন না ওই তরুণী।
ছেলেকে নিয়ে বিমানটিতে ছিলেন তিনি। ভাই বেঁচে ফিরে বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও বাবার খোঁজ পাননি তারা।
অসমর্থিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, জীবিতরা বিধ্বস্ত বিমান থেকে ক্রলিং করে বের হচ্ছেন, কারো কারো শরীরে আঘাতের চিহ্নও দেখা যাচ্ছে।
এ ঘটনায় আজারবাইজান ও কাজাখস্তান পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বিমান তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান এমব্রায়ার জানিয়েছে, অনুসন্ধান বিষয়ে ‘সব কর্তৃপক্ষকে তারা সহযোগিতা’ করতে প্রস্তুত রয়েছে’।
বোয়িং ও এয়ারবাসের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলিয়ান কোম্পানি এমব্রায়ায়ের সুরক্ষিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুনাম রয়েছে।
তথ্যসূত্র বিবিসি