জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আর কোনও মামলায় দণ্ডাদেশ থাকল না।
এ মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদার আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তা যথাযথ বলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমদ নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বুধবার খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামির সবাইকে খালাস দিয়ে রায় দেয়।
একই সঙ্গে এ মামলায় বিচারিক আদালত ও হাই কোর্টের রায় বাতিল ঘোষণা করেছে সর্বোচ্চ আদালত।
ফলে এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ যাদের সাজা হয়েছিল ও আপিল করতে পারেননি, তারাও খালাস পেলেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও পাঁচজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড হয়েছিল। এ রায়ের ফলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও আর কোনও মামলায় দণ্ড থাকল না।
রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, “এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
মামলাটিতে রাষ্ট্রপতি আগেই খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে দিয়েছিলেন, তারপর থেকে তিনি মুক্ত। বর্তমানে উন্নত চিকিৎসা নিচ্ছেন লন্ডনে। ছেলে তারেক রহমানও ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনেই রয়েছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এই মামলায় আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল ঢাকার জজ আদালত।
এরপর জিয়া চ্যারিটেবল (দাতব্য) ট্রাস্ট মামলায়ও তার দণ্ডাদেশ হয় বিচারিক আদালতে। অরফানেজ দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া আপিল করলে হাই কোর্টে রায়ে সাজা বেড়ে যায়। ওই বছরেরই ৩০ অক্টোবর দেওয়া সেই রায়ে তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।