বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ ছাড়া তার অন্য কোনও দেশের পাসপোর্ট নেই।
বুধবার ঢাকায় একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ”আমার একটাই সিটিজেনশিপ, বাংলাদেশি সিটিজেনশিপ। আমি এখানে আসার আগে আমেরিকায় থেকেছি, কিন্তু আমার আমেরিকান কোনও পাসপোর্ট নেই। বাংলাদেশ ছাড়া আমার অন্য কোনও দেশের পাসপোর্ট নেই। আমি যেটা নই, আমাকে সেটা বানাবেন না প্লিজ। আপনারা আমাকে ঢিল ছুড়লে সেটা অন্য কারও ওপরেও পড়তে পারে। প্লিজ স্টপ ইট।”
বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছুদিন ধরে লেখালেখি করা হচ্ছিল যে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিকত্বধারী কোনও ব্যক্তি বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মতো দায়িত্বে থাকতে পারেন কিনা। সেই আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি এই বক্তব্য দিলেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস গত নভেম্বরে খলিলকে তার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাইরিপ্রেজেনটেটিভ হিসাবে নিয়োগ দেন।
সেই খবর প্রচার হলে খলিল নামের ব্যক্তিটি চেনা হয়ে ওঠে সবার। এরপর প্রধান উপদেষ্টার থাইল্যান্ড সফরের আগে হঠাৎ করেই সংবাদ সম্মেলনে আসেন খলিল। তাতে বোঝা যায়, তিনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। তার পরের মাসেই তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়।
সর্বশেষ বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন তার নাগরিকত্ব নিয়ে তুললে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ও সামনে চলে আসে। অবশ্য দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের কারও দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের সুযোগ থাকলেও তা গ্রহণ করলে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে থাকার যোগ্যতা হারাতে হয়।
যেমন কেউ বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে কিংবা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করলে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যের পদ নেওয়ার যোগ্যতা হারান।
এ সম্পর্কিত আরও খবর: