টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের জন্য তিন কোটি টাকা পরিশোধে শ্রম সচিবের প্রতিশ্রুতি প্রত্যাখ্যান করেছেন সাধারণ শ্রমিকরা। সকল বকেয়া পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন তারা।
শনিবার সন্ধ্যায় শ্রম ভবনের সামনে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান এনজেড গ্রুপের শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের জন্য ঈদের আগে দুই কোটি টাকার জায়গায় এক কোটি বাড়িয়ে তিন কোটি টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন।
টিএনজেড গ্রুপের তিনটি ইউনিটের কাছে ৩ হাজারের বেশি শ্রমিকের মোট ১৭ দশমিক ১৩ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
এর আগে প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন মালিকপক্ষ মেশিন বিক্রি করে দুই কোটি টাকা দেবে। বৈঠকের পর প্রায় আধা ঘণ্টা শ্রম ভবনে অবরুদ্ধ থাকার পর শ্রমিক নেতাদের আশ্বাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় নিচে নেমে আসেন শ্রম সচিব।
এ সময় তিনি গাড়িতে উঠতে চাইলে শ্রমিকরা তাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি মোট তিন কোটি টাকা পরিশোধের কথা জানান। তাও মানেনি সাধারণ শ্রমিকরা।
এ সময় শ্রমিক নেতারা সচিবকে গাড়িতে উঠিয়ে দেন।
ঘোষণায় শ্রম সচিব মে দিবসের আগেই বকেয়াসহ সব সমস্যা পুরোপুরি সমাধান করতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এছাড়াও সে পর্যন্ত টিএনজেড গ্রুপের ডিরেক্টর শাহীনসহ তিন কর্মকর্তা থাকবেন শ্রম অধিদফতরের হেফাজতে।
অ্যাপারেল প্লাস ইকোর শ্রমিক প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম বলেন, “ঈদের আগেই সব টাকা পরিশোধ করতে হবে। কারণ আমাদের ১৭ কোটি টাকা পাওনার বিপরীতে তিন কোটি টাকা নিলেও শ্রমিকদের কোনও কাজে আসবে না। কারণ তিন মাস বেতন না পাওয়ায় অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকে দেনার দায়ে জর্জরিত। তাই ঈদের আগে অন্তত একটি বেতন ও একটি বোনাস না দিলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
শ্রমিক নেতা জলি তালুকদার বলেন, “আমরা ঈদের আগে কমপক্ষে এক মাসের বেতন এবং ঈদ বোনাস দাবি করছি।”
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর প্রাক্তন সভাপতি ইকবালুর রহমান বলেন, “আমরা তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি এবং আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব।”
ঈদের দিনেও শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান করার ঘোষণা দেন শ্রমিক প্রতিনিধিরা।
২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল।