টেকসই খাবার ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই! শুধু স্বাস্থ্যের কথা নয়, ভাবতে হবে খাবারকে ঘিরে পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয় নিয়েও। পুষ্টি বৈষম্য দূর করতে শুধু দামী মাছ, মাংসই যে প্রয়োজন বিষয়টি তেমন নয়। কম খরচের খাবারেও মেটানো সম্ভব শরীরের পুষ্টি চাহিদা।
বিখ্যাত খাদ্য লেখক আন্না জোনসের ‘হলুদ ডাল পোচড ডিম’ তেমনি একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টি সহায়ক খাবার, যা তৈরিতে সময় যেমন কম লাগবে তেমনি খরচও কম।
উপকরণ
- এক টেবিল চামচ জলপাইয়ের তেল
- অল্প পরিমাণে কুচি কুচি করে কাটা আদা
- দুই কোয়া রসুন, কুচি কুচি করে কাটা
- ধনেপাতা কুচি
- এক চা চামচ জিরা
- এক চা চামচ হলুদ
- ৩০০ গ্রাম লাল মসুর ডাল
- এক লিটার ফুটন্ত পানি
- ২০০ গ্রাম পালং শাক
- লেবুর রস
- এক হালি ডিম
- একটি কাঁচা মরিচ, কুচি কুচি করে কাটা
- পরিমাণমত লবণ
- গোলমরিচ
- এবং পরিবেশনের জন্য দই
যেভাবে রান্না করবেন
ঢাকনা আছে এমন একটি বড় কড়াইয়ে তেল গরম করুন। আদা, রসুন দিয়ে এর পর ধনে পাতা ছিটিয়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না রসুন সামান্ন হলদে হয়ে আসে।
এরপর মশলা যোগ করুন। খানিকক্ষণ কসিয়ে মসুর ডাল যোগ করে নাড়তে হবে। এরপর ফুটন্ত পানি ঢেলে প্রয়োজন মতো (এক চিমটি) লবণ যোগ করে আরও নাড়তে থাকুন।
প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট কম আঁচে মসুর ডাল ভালভাবে সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। ডাল একটি ঘন হয়ে এলে পালং শাক ঢেলে দিন। শাক সেদ্ধ হওয়ার জন্য ঢাকনা রাখুন, অন্তত দুই মিনিট।
আপনি যখন খাওয়ার জন্য প্রায় প্রস্তুত, তখন লেবুর রস চেপে নিন এবং মসুর ডালের স্বাদ নিন, প্রয়োজনে আরও সামান্য লবণ এবং কিছু গোলমরিচ যোগ করুন।
এরপর ডিম ফাটিয়ে দিন এবং ডিমের সাদা অংশ শক্ত না হওয়া পর্যন্ত আবার ঢেকে দিন। সর্বোচ্চ 5 মিনিট সময় নিতে পারে।
পরিবেশনের আগে কাটা মরিচ ও ধনেপাতা দিয়ে ডিমের উপর ছিটিয়ে দিন এবং সঙ্গে দই পরিবেশন করুন।