কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গোপালগঞ্জের ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেও স্থানীয় বিএনপি নেতারা নিরীহ মানুষদের হয়রানি ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে এক নজিরবিহীন সংবাদ সম্মেলন করেছে।
রোববার দুপুরে উপজেলার ঘাঘর বাজারে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিউর রহমান হাওলাদার লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।
এস এম মহিউদ্দিন বলেন, “১৬ জুলাই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কোটালীপাড়া-পয়সারহাট সড়ক বন্ধ করে উপজেলার ওয়াবদার হাটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। তারা সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ ফেলে সাধারণ মানুষের চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করেন। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানা-পুলিশ ১৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় দেখিয় মামলা করে। এ মামলায় উপজেলার সাধারণ মানুষদের গ্রেপ্তারের নামে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
এর আগে বুধবারের সংঘাতের পর আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার বলেন, “আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, এই মামলায় অধিকাংশ আসামিই নিরীহ মানুষ। বেশীর ভাগই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তা হলে কিভাবে? কাদের মদদে এই নিরীহ মানুষদের আসামি করা হলো।”
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিউর রহমান হাওলাদার কোটালীপাড়া থানা-পুলিশকে উদ্দেশ করে বলেন, “বিক্ষোভের সময় সেখানে আপনারা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তখন একজন ব্যক্তিকেও আপনারা আটক করতে পারেননি। আপনাদের কাছে তো ভিডিও ফুটেজ আছে। আপনারা ওই ফুটেজ দেখে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারতেন। কিন্তু আপনার তা না করে নিরীহ মানুষদের গ্রেপ্তার করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।“
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। আপনারা যদি সেই মানুষদের হয়রানি করেন তা হলে সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এর প্রতিরোধ করব।’
সংবাদ সম্মেলনে পৌর বিএনপির সভাপতি ইউছুপ আলী দাড়িয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শেখ ফায়েকুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ছলেমান শেখ, যুবদলের সদস্যসচিব মান্নান শেখ, ছাত্রদলের আহ্বায়ক লালন শেখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সম্পর্কিত আরও খবর:
