হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও হামলার অভিযোগের মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি তার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্যও তাগিদ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকা।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় ব্যানার্জি বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার নিন্দা জানান। একইসঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান আরও বলেন, “যদি এই ধরনের ঘটনা চলতেই থাকে, আমরা আমাদের মানুষজনকে ফিরিয়ে আনতে চাই, এবং আমি আশ্বাস দিচ্ছি যে তারা কোনও খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হবে না।”
গত ৫ অগাস্ট বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর থেকে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দু ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও সহিংসতার নানা প্রতিবেদন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে আসছে।
সম্প্রতি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে হিন্দুদের ওপর সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া হিন্দু ধর্মীয় গুরু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
“১০দিন ধরে, ভারত সরকার নীরব রয়েছে। কিন্তু তার দল সীমান্ত অবরোধ এবং আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করার হুমকি দিয়ে আসছে। কেন্দ্রীয় সরকার একটি নির্দিষ্ট আদেশ জারি করলেই এটি সহজেই হয়ে যায়,” বলেন ব্যানার্জি।
পাক-ভারত বিভাজনের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারতীয়দের অনেক আত্মীয়-স্বজন এখনও বাংলাদেশে বসবাস করে।
৭৯ জন ভারতীয় জেলের আটকের তথ্য জানিয়ে মমতা ব্যানার্জী বলেন, “অসাবধানতাবশত বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়া ৭৯ জন জেলেকে বাংলাদেশ মুক্তি দেয়নি। অথচ যখন বাংলাদেশি জাহাজ ভারতে আটকা পড়ল, আমরা তাদের সহায়তা করলাম।”