পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে নতুন বিপিএলের প্রতিশ্রুতি এসেছিল তা ফিকে হতে শুরু করেছে দু’দিনেই। পুরোনো সব সমস্যা তো আছেই, বরং নতুন ‘ঝক্কিও’ সামলাতে হচ্ছে এবার।
আসর শুরু হয়ে গেলেও অনেক ক্রিকেটার এখনও পাননি পারিশ্রমিক। এ নিয়ে খেলোয়াড়দের আশ্বস্তও করেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক।
ওদিকে, খোদ বিসিবি সভাপতি অশোভন আচরণের শিকার হয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। অনেকের উপস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটলেও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
যার বিরুদ্ধে ‘দুর্ব্যবহারের’ অভিযোগ সেই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম অবশ্য তা অস্বীকার করছেন।
সোমবার মাঠে গড়িয়েছে বিপিএলের একাদশ আসরের খেলা। সেদিনের কিছু বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রেসিডেন্ট বক্সে ফারুকের সঙ্গে কথা বলছিলেন অভিযুক্ত মাহফুজ ও অন্য অতিথিরা।
টিকেট নিয়ে বিশৃঙ্খলা, গ্যালারিতে আবু সাঈদ কর্নার এবং দর্শকদের বিনা মূল্যে পানি পানের জন্য মুগ্ধ কর্নারের প্রস্তুতিতে দেরি এবং জুলাই–আগস্টের আন্দোলনে আহত ১০০ জনের সৌজন্য টিকিট পেতে দেরি হওয়ার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করান বিসিবি সভাপতিকে।
ঘটনার সূত্রপাত সেখান থেকেই বলে জানিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
এ বিষয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অবশ্য মাহফুজ দাবি করেন, তিনি বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কোনো অশোভন আচরণ করেননি।
এ তো গেল নিজেদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, অন্যদিকে বিপিএলে টিকেট ঘিরে হট্টগোল যেন থামছেই না। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই টিকিট নিয়ে অভিযোগ করছেন দর্শকরা।
খেলা শুরুর আগের দিন শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ দেখান টিকিটপ্রত্যাশীরা। একই পরিস্থিতি দেখা যায় উদ্বোধনী ম্যাচের আগেও। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার আগুন দেওয়া হয় বুথে।
এবারের আসরে বেশিরভাগ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে অনলাইনে। এর বাইরে মধুমতি ব্যাংকের নির্ধারিত ৭টা শাখায় টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
গত সোমবার জানানো হয়, স্টেডিয়াম সংলগ্ন সুইমিং কমপ্লেক্সের বুথ থেকেও সশরীরে টিকিট কিনতে পারবেন দর্শকরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টিকিটের জন্য সুইমিং কমপ্লেক্সের সামনে ভিড়ও জমান দর্শকরা। কিছু দর্শক টিকিট পান যদিও। অন্যরা দীর্ঘ অপেক্ষার পরও কাউন্টার থেকে টিকিট না পেয়ে একপর্যায়ে হট্টগোল শুরু করেন। স্লোগান, চিৎকার, গালিগালাজের মাঝেই হুট করে উত্তেজিত কয়েকজন লোহার বেড়ি ভেঙে ঢুকে যান ভেতর।
দুপুর ১২টার কাছাকাছি সময়ে টিকিট কাউন্টারের অস্থায়ী বুথে ব্যবহৃত শামিয়ানায় আগুন ধরিয়ে দেন তারা। কাছেই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকায় বড় হয়নি অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা। তবে টিকিট নিয়ে তিন দিনে বিপিএলের আয়োজনে অব্যবস্থাপনা নিয়ে রীতিমতো আলোচনা ছড়িয়েছে স্টেডিয়াম পাড়া থেকে ক্রিকেট অনুরাগীদের মধ্যে।