বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক খবর দিয়ে সোমবার সংবাদপত্রগুলো তাদের প্রধান প্রতিবেদন সাজিয়েছে। এর মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ করবে কি করবে না এবং সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে নবগঠিত রাজনৈতি দল এনসিপি নেতাদের দেওয়া বক্তব্য ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতির খবর জায়গা পেয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রের প্রধান প্রতিবেদনে। এর পাশাপাশি আগামী সংস্কার প্রশ্নে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের অবস্থান, পায়রা সমুদ্রবন্দর নিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টার মন্তব্য ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অসন্তোষের খবরও গুরুত্ব পেয়েছে সংবাদপত্রগুলোতে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সোমবার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে।

সমকাল
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নিয়ে দুটি বিকল্প ভাবনার কথা জানার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘বিদ্রোহী নাকি পরিশোধিত আ’লীগ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, তা নিয়ে রাজনীতির অন্দরমহলে চলছে টানাপোড়েন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে আওয়ামী লীগ নিয়ে দুটি বিকল্প ভাবনার কথা জানা গেছে। একটি পক্ষ চায়, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সবাইকে বাদ দিয়ে ‘রেভেল’ তথা বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ গঠন করানো। আরেকটি বিকল্প হলো, শেখ হাসিনার সম্মতিতে তাঁর পরিবর্তে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের নেতৃত্বে ‘রিফাইন্ড’ তথা পরিশোধিত আওয়ামী লীগকে ভোটে রাখা।
রাজনৈতিক সূত্রগুলো সমকালকে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সরকারকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরামর্শ দিয়েছে। এ চাওয়া পূরণে ‘শেখ হাসিনাবিরোধী নেতাদের আওয়ামী লীগ’কে নির্বাচনে সুযোগ দেওয়া যায় কিনা- এ ভাবনা রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের মধ্যে। তবে এ সুযোগ পেতে ‘হাসিনাবিরোধী’ নেতাদের জুলাই গণহত্যা, তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন, গুম-খুন, ব্যাংক লুট, টাকা পাচারের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। এই প্রক্রিয়াকে ‘রিকনসিলিয়েশন’ বলতে চাচ্ছেন কেউ কেউ। একজন উপদেষ্টাসহ অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের কয়েকজনের এতে সায় ছিল। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সমকালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।

প্রথম আলো
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে করা খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘গণপরিষদ নয়, সংসদ নির্বাচন চায় বিএনপি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধান সংস্কারে গণপরিষদ গঠন করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করে বিএনপি। দলটি বলেছে, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা উচিত। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে সংসদে সব আলোচনা হবে।
গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কারের সুপারিশ নিয়ে লিখিতভাবে দলীয় মতামত জমা দেয় বিএনপি। পরে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের দলীয় এ অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।
সংবিধানের প্রস্তাব পরিবর্তনে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিরোধিতাও করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, সুপারিশে ১৯৭১ ও ২০২৪ সালকে এককাতারে আনা হয়েছে। এটি তারা সমুচিত বলে মনে করে না। রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন করার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করে না দলটি। বিএনপি বলেছে, যেভাবে সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন করার প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তেমন একটা ভূমিকা থাকবে না। এ ছাড়া নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হবে।

কালের কণ্ঠ
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত না করতে সেনাপ্রধানের আহ্বান সত্ত্বেও নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের বক্তব্যে সেই চেষ্টা হচ্ছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রমণাত্মক কথা না বলার আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বলেছিলেন, ‘একটা কমন জিনিস আমি দেখতে পাচ্ছি, সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারো কারো। কিন্তু কী কারণে, আজ পর্যন্ত আমি এটা খুঁজে পাইনি।’
ওই দিন সেনাপ্রধান আরো বলেন, ‘আমরা হচ্ছি একমাত্র ফোর্স, যেটা আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, দাঁড়িয়ে আছি প্ল্যাটফরমে। অবকোর্স নেভি অ্যান্ড এয়ারফোর্স। নেভি, এয়ারফোর্স উই অল। আমাদের সাহায্য করেন, আমাদের আক্রমণ করবেন না। আমাদের অনুপ্রাণিত করেন, আমাদের উপদেশ দেন। আমাদের প্রতি আক্রমণ করবেন না। উপদেশ দেন, আমরা অবশ্যই ভালো উপদেশ গ্রহণ করব। আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই এবং দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
কিন্তু সেনাপ্রধানের সেই অনুরোধেও ঐক্য বিনষ্টকারীদের অপচেষ্টা থামেনি। কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট বেশ কিছু দিন ধরেই সেনাপ্রধান সম্পর্কে কটূক্তি ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বিস্ময়করভাবে নিজের ফেসবুক পোস্টে ‘ক্যান্টনমেন্টের চাপ’-এর কথা বলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন। তবে হাসনাতের এই বক্তব্য তাঁর দলের অনেকেই সমর্থন করতে পারেননি।

ইত্তেফাক
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও সেনাবাহিনী জড়িয়ে নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বক্তব্যের সঙ্গে দলটির অন্য নেতাদের ভিন্নমত পোষণের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘হাসনাতের বক্তব্য নিয়ে এনসিপিতে ভিন্নমত’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রিফাইন্ড (সংশোধিত) আওয়ামী লীগ’ গঠনে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চাপ দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সম্প্রতি ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছেন, তাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সেনাবাহিনী সদর দপ্তর। সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের এক প্রতিবেদনে এই প্রতিক্রিয়া জানানোর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। গত শনিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে সেনাসদরকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্ট ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বই অন্য কিছু নয়’।
অন্যদিকে হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্ট নিয়ে ‘কিছুটা দ্বিমত’ প্রকাশ করে আবার পোস্ট দিয়েছে দলটির আরেক সংগঠক সারজিস আলম। অন্যদিকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এমন কর্মকাণ্ড দলকে বিতর্কিত করছে বলে মনে করছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হান্নান মাসউদ।

যুগান্তর
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে করা খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘গণভোট ও গণপরিষদে ‘না’’শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে গণভোট, গণপরিষদ নির্বাচন ও রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের সঙ্গে একমত পোষণ করেনি বিএনপি। সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে উল্লেখ করে দলটি বলেছে, এক্ষেত্রে মূলনীতি পরিবর্তন করা যাবে না। এছাড়া সংস্কার প্রস্তাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানকে একই কাতারে আনা সমুচিত হবে না। বিএনপি বলছে, গণপরিষদ কিংবা গণভোটের নির্বাচন নয়, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত। সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার আলোচনার ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

বণিক বার্তা
বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যে অনুপাতে বাড়ছে, সেভাবে নতুন কর্মসংস্থান বাড়ছে না– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা। ‘দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রবৃদ্ধির গড় হার ১.৫%, কর্মসংস্থানে ০.২ শতাংশ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেকোনো দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী হিসেবে ধরা হয় ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে, নতুন কর্মসংস্থান বেড়েছে তার তুলনায় একেবারেই সামান্য। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংকের এক পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এক দশকে দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বেড়েছে গড়ে দেড় শতাংশ হারে। যদিও একই সময়ে কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ২ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি বছর দেশে বিপুলসংখ্যক তরুণ কর্মক্ষম হয়ে উঠলেও তাদের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক কর্মসংস্থান তৈরি করা যায়নি। এমনকি বিভিন্ন খাতের সবচেয়ে উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান বা ফ্রন্টিয়ার ফার্মগুলোও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। বরং অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক নানা দুর্বিপাকে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে। এতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ও নতুন কর্মসংস্থানের গড় প্রবৃদ্ধিকেও ছাড়িয়ে গেছে কর্মহীনতা বৃদ্ধির গড় হার।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভিন্ন ভিন্ন মতামত উপস্থাপনের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘নানা মত দলগুলোর’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মতামত জমা দিয়েছে। দলগুলো অনেক বিষয়ে একমত জানালেও, দ্বিমতের ইস্যুও কম নয়। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান বেশ দূরে।

নয়া দিগন্ত
পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল প্রকল্প নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টার মন্তব্য দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত। ‘পায়রা সমুদ্রবন্দর প্রকল্প অর্থনীতির বিষফোঁড়া’শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বিষফোঁড়া। পায়রা সমুদ্রবন্দর বলা হলেও মূলত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আনতে এই বন্দর করা হচ্ছে। এটাকে সমুদ্রবন্দর তো দূরের কথা, নদীবন্দরও বলা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, এ প্রকল্পের জন্য প্রতি বছর ড্রেজিং করতে হবে। এতে প্রচুর অর্থ খরচ হবে। এটি বাদ দিয়ে প্লেনে কয়লা আনা যায়।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। সভাশেষে আনুষ্ঠানিক এক ব্রিফিংয়ে প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ও পরিকল্পনা সচিব। উপদেষ্টা জানান, ১৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১৪ হাজার ১৯৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ছয় হাজার ৫৩৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪০৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

আজকের পত্রিকা
বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে নতুন একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট নয়– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘নতুন বাহিনীর প্রস্তাবে অসন্তোষ বেবিচকে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে ‘বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স’ (বিএএসএফ) নামে একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা হবে ১০,৬৩২ জন। প্রস্তাব অনুযায়ী, এই জনবলের ৭০ শতাংশ নেওয়া হবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী থেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) নতুন এই বাহিনী গঠনসংক্রান্ত প্রস্তাব বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এ নিয়ে বেবিচকের ভেতরেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। প্রস্তাবটি বাতিল এবং বেবিচকের এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) বিভাগের স্বার্থ সংরক্ষণের দাবিতে বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, বেবিচককে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে।
বিক্ষোভের পর বেবিচক বলেছে, এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি।

দেশ রূপান্তর
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও সেনাবাহিনী জড়িয়ে নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের বক্তব্যে নিয়ে দলটির বিতর্কিত হয়ে পড়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘সারজিসের দ্বিমত, বিরূপ প্রতিক্রিয়া এনসিপিতে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনানিবাস থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে ‘চাপ দেওয়ার’ অভিযোগ তুলে জাতীয় নাগরিক পার্টির ((এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছিলেন, তাতে ‘কিছুটা দ্বিমত’ প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছেন দলটির আরেক সংগঠক সারজিস আলম। এ ছাড়া ছাড়া হাসনাত তার ওই পোস্টে যে সেনা কর্মকর্তার কথা ইঙ্গিত করেছিলেন, তিনি যে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানই; তাও স্পষ্ট করেছেন সারজিস।
এদিকে এনসিপির দুই নেতার দুই রকমের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। তার মতে, গুরুত্বপূর্ণ দুই নেতার এমন অবস্থান নতুন আত্মপ্রকাশ করা এনসিপিকে বিতর্কিত করছে।
অন্যদিকে এ ইস্যুতে সেনাসদর বা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) তরফ থেকে দেশের কোনো সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলা না হলেও সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজ দাবি করেছে, হাসনাতের বক্তব্য ‘অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ব গল্পের সম্ভার’ উল্লেখ করেছে সেনাসদর।