গ্যাস সংকটের কারণে দেশে শিল্পকারখায় উৎপাদন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ব্যাহত হওয়ার খবর সোমবার গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে কয়েকটি সংবাদপত্রে। এর পাশাপাশি আগামী বাজেটে পোশাক খাতের করহার বাড়ানোর পাশাপাশি কয়েকটি খাতে কর সুবিধা বাতিল হতে পারে– এমন একটি সংবাদও আছে। এর বাইরে সংখ্যানুপাতিক বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং আগে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন করা না করা নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গত শনিবার পর্যন্ত নতুন করে ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত ও খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার সম্ভাব্য সময় নিয়ে করা খবরও গুরুত্ব পেয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সোমবার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে বা প্রথম পাতায় গুরুত্বের সঙ্গে ছেপেছে।

যুগান্তর
শিল্প খাতের জন্য বরাদ্দকৃত গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদনের জন্য দেওয়ার কারণে শিল্প কল-কারখানায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘শিল্পের গ্যাস যাচ্ছে বিদ্যুতে: কারখানায় উৎপাদনে ধস’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিল্প খাতের জন্য বরাদ্দকৃত গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদনের জন্য দেওয়া হচ্ছে। এতে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে শিল্প কল-কারখানায়। গ্যাস না থাকায় কারখানাগুলোর উৎপাদনে ধস নেমেছে। গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল মিলগুলোর উৎপাদন ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।
অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার পথে। দেশের একটি বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও গ্যাস সংকটের বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গ্যাসের অভাবে গত কয়েক দিনে প্রায় ৪০০ গ্যাসনির্ভর কারখানা, পূর্ণক্ষমতায় উৎপাদন করতে পারছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিল্পের গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরবরাহ দেশের অর্থনীতির জন্য ভয়ংকর দুসংবাদ।

প্রথম আলো
সড়ক থেকে পুরোনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন সরিয়ে নিতে সরকার ছয় মাস সময় বেঁধে দিলেও তাতে মালিকপক্ষের সাড়া মিলছে না– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘পুরোনো যান সরানোর উদ্যোগে এবারও সাড়া নেই মালিকদের’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক থেকে পুরোনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন সরিয়ে নিতে ছয় মাস সময় বেঁধে দিয়েছিল সরকার। নতুন যানবাহন কেনার জন্য মালিকদের ঋণ পেতে সহায়তার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। সময়সীমা শেষ হবে মে মাসে। তবে মালিকদের কোনো গরজ দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে, ঢাকাসহ সারা দেশে চলাচলকারী ৭৫ হাজারের বেশি বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংকলরির আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরোনো এসব যানবাহন দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে এবং পরিবেশ দূষণ করছে।
পুরোনো যানবাহন সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও নেওয়া হয়েছিল। তবে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মালিকেরা। এবারও তাঁরা সাড়া দিচ্ছেন না। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কতটুকু সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

সমকাল
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গত শনিবার পর্যন্ত নতুন করে ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘নতুন এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গত শনিবার পর্যন্ত নতুন করে ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। ইতোমধ্যে যৌথভাবে তাদের আঙুলের ছাপও নিয়েছে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর)। এদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মোট রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়াল অন্তত ১৩ লাখ ১৩ হাজারে। তবে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আইরিশের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের অনুমতি এখনও দেয়নি সরকার।
নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আবাসস্থলের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছে ইউএনএইচসিআর। গত সপ্তাহে তারা শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়কে এ চিঠি দেয়। গতকাল রোববার রাতে সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।

কালের কণ্ঠ
গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় শিল্প-কারখানার উৎপাদন কমার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘গ্যাসসংকটে শিল্প উৎপাদনে ধস’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাহিদা বাড়লেও দিনে দিনে কমছে গ্যাসের সরবরাহ। দুই বছর আগেও জাতীয় গ্রিডে দিনে গ্যাস সরবরাহ করা হতো প্রায় তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে দুই হাজার ৬৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় শিল্প-কারখানার উৎপাদন কমছে। পাশাপাশি সিএনজি স্টেশন, আবাসিক খাতসহ সব ক্ষেত্রেই গ্যাসের সংকট চলছে।
এর মধ্যে সিরামিক, ইস্পাত ও টেক্সটাইল খাতের উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই শিল্প-কারখানায় এবং ক্যাপটিভ পাওয়ারে (শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র) গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর ব্যবস্থা না করে নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোয় সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।

ইত্তেফাক
সংখ্যানুপাতিক বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং আগে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন করা না করা নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘আনুপাতিক পদ্ধতি ও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইস্যু: বিপক্ষে বিএনপি, পক্ষে জামায়াত’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা ও সংস্কারের পরিধি নিয়ে চলমান বিতর্কের পাশাপাশি দ্বিমত-ভিন্নমত দেখা দিয়েছে সংখ্যানুপাতিক বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং আগে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন করা না করা নিয়েও। শুরু থেকেই বিএনপি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিপক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। আর জামায়াতে ইসলামী বাইরে হরেক কথা বললেও আনুষ্ঠানিক সংলাপে বরাবরই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশন ৩০০ আসন বিশিষ্ট নিম্নকক্ষ (আইনসভা) ও সেখানে আরও ১০০টি সংরক্ষিত আসন (নারীদের জন্য) এবং ১০০ আসন বিশিষ্ট উচ্চ কক্ষ সংসদের সুপারিশ করেছে। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের বিষয়ে বিএনপি ও জামায়াত উভয়ই একমত। তবে, নিম্ন কক্ষের নির্বাচন বিদ্যমান পদ্ধতিতেই করার পক্ষে বিএনপি। অন্যদিকে, সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচনই পিআর পদ্ধতিতে চায় জামায়াত।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে ফিরবেন– এমন খবর প্রথম পাতায় গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘খালেদা জিয়া ফিরতে পারেন মে’র প্রথম সপ্তাহে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে। তারেক রহমানের বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করেন এমন একজন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাংলাদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
তবে বেগম জিয়ার সঙ্গে শুধু আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান ও তাঁর পরিবার দেশে যাবে। তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান বেগম জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরছেন না বলে গুঞ্জন রয়েছে। এখনই দেশে ফিরছেন না তাঁরা। জানা যায়, দেশে ফেরার তারিখ এখনো নির্দিষ্ট না হওয়ার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষে ফ্লাইটের সিডিউল। বেগম জিয়া যে বিশেষ ফ্লাইটে লন্ডনে এসেছিলেন সেই ফ্লাইট ম্যানেজ করার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। সম্ভাব্য তারিখ ৩ বা ৫ মে।

বণিক বার্তা
বর্তমানে ঢাকায় যত যানবাহন চলছে, তার ৪৯ শতাংশ মোটরসাইকেল এবং রিকশা-ভ্যানের মতো অযান্ত্রিক বাহন– সমীক্ষায় উঠে আসা এই তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদন প্রধান প্রতিবেদন হিসেবে ছেপেছে বণিক বার্তা। ‘ঢাকার যানবাহনের ৪৯ শতাংশই মোটরসাইকেল ও অযান্ত্রিক’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ঢাকায় এমন কোনো মোড় নেই, যেখানে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা মোটরসাইকেল চালকের দেখা মিলবে না। অন্যদিকে ঢাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বাদে সব রাস্তা আর মোড়ে দেখা মিলবে পায়ে নয়তো ব্যাটারিচালিত রিকশার। ছোট ছোট এসব যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যানবাহনের কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা লেগেই থাকে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এসব বাহনের চালকরা জোটবদ্ধ হয়ে মাঝেমধ্যেই নানা দাবি-দাওয়া আদায়ে সড়কে বিক্ষোভ-অবরোধও করেন। ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় অংশজুড়ে রয়েছে এ ধরনের বাহন। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বর্তমানে ঢাকায় যত যানবাহন চলছে, তার ৪৯ শতাংশ মোটরসাইকেল এবং রিকশা-ভ্যানের মতো অযান্ত্রিক বাহন (সড়ক পরিবহন আইনে ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশার মতো বাহন ‘মোটরযান’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত নয়)।

নয়া দিগন্ত
মাদক নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে সরকার বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে– এমন খবর প্রথম পাতায় গুরুত্বের সঙ্গে ছেপেছে নয়া দিগন্ত। ‘মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত সরকারের’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানে নামবে সরকার। এই অভিযান পরিচালনার জন্য সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির প্রধান থাকবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
সেনা-বিমান-নৌ বাহীনিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব বাহিনীর অংশগ্রহণ থাকবে এই অভিযানে। অভিযানের করণীয় নির্ধারণ করতে মাদকের অন্যতম প্রবেশপথ কক্সবাজারে আগামী ১২ মে এক বৈঠকের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

আজকের পত্রিকা
আগামী অর্থবছরের বাজেটে কৃষি, মৎস্য, পোলট্রি, পোশাকের মতো কিছু কিছু খাতে দেওয়া কর-সুবিধা বাতিলের পাশাপাশি পোশাক খাতের করহার বাড়ানো হতে পারে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘বাজেট ২০২৫-২৬: পোশাক খাতে করহার বাড়বে, কমবে অন্যদের করছাড়’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, বরাবরের মতো চলতি অর্থবছরেও রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এদিকে আগামী অর্থবছরে অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের শর্ত জুড়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এমন পরিস্থিতিতে রাজস্ব আহরণে কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। কৃষি, মৎস্য, পোলট্রি, পোশাকের মতো কিছু কিছু খাতে দেওয়া কর-সুবিধা বাতিল করা হবে। বাড়ানো হতে পারে পোশাক খাতের করহার। বাড়ছে না ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এনবিআরের আয়কর বিভাগের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন করে কোনো সুবিধা দেওয়ার পরিস্থিতি নেই। আইএমএফও চায় যেন সুবিধা তুলে নেওয়া হয়। দেশীয় শিল্প রক্ষায় কিছু ক্ষেত্রে করছাড় আছে। সেগুলোর মধ্য থেকেও কিছু ছাড় উঠে যেতে পারে।’

দেশ রূপান্তর
অটোরিকশার কারণে একদিকে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে, অন্যদিকে বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় চাপ সৃষ্টি হচ্ছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘সড়কে জট ঘরে লোডশেডিং’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অটোরিকশার কারণে একদিকে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে, অন্যদিকে বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং বাড়ছে। অটোরিকশার বেশিরভাগই ব্যাটারিচালিত, এগুলোর জন্য চার্জিং স্টেশন করতে হচ্ছে। ফলে বিদ্যুতের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে।
বিদ্যুৎ অফিস ও অটোরিকশার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অটোরিকশার ব্যাটারি প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা চার্জ করতে হয়। ৬ ঘণ্টায় ২ থেকে ৪ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। এ হিসাবে দেশের ৫০ লাখ অটোরিকশার জন্য প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। গরম আসার আগেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় লোডশেডিং শুরু হয়ে গেছে। অটোরিকশার আধিক্যের কারণে বিদ্যুতের অতিরিক্ত ব্যবহারে আবহাওয়া উত্তপ্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।