বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক মিনিট আগে পাখির আঘাতের বিষয়ে বৈমানিককে সতর্কতা পাঠানো হয়েছিলো বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার।
বিমান নীতির পরিচালক জু জং-ওয়ান বলেন, রোববার সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটের দিকে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে পাখির আঘাতের বিষয়ে সতর্কতা পেয়েছিল জেজু এয়ার ৭সি২২১৬।
এরপর ৯টা ৩ মিনিটে ল্যান্ডিং গিয়ার স্থাপন না করে অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন, যার ফলে প্লেনটি রানওয়ের উপর দিয়ে ছিটকে পড়ে এবং দেয়ালে আঘাত করে।
“(পাইলট) প্রথমবারের মতো অবতরণের চেষ্টা করার সময় পাখির স্ট্রাইকের সতর্কতা পেয়েছিলেন, এরপর তিনি ‘মে-ডে কল’ পাঠান এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বিপরীত দিকে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়, যা পাইলট গ্রহণ করেছিলেন,” স্থানীয় সময় বেলা ৩টায় ব্যাখ্যা করেছিলেন জু।
বৈমানিক ও সহকারী বৈমানিকের যথাক্রমে ৬ হাজার ৮২৩ ও এক হাজার ৬৫০ ঘণ্টা বাণিজ্যিক বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল।
কারা ছিলেন ওই বিমানে
বিধ্বস্ত বিমানের বেশিরভাগ আরোহী ছিলেন নারী। দ্য কোরিয়া হেরাল্ড জানিয়েছে, উদ্ধার করা ১৭৭ মৃতদেহের মধ্যে ৫৭ জনের পরিচয় সনাক্ত করা গেছে। উড়োজাহাজটির যাত্রীদের মধ্যে ৯৩ জন নারী এবং ৮২ জন পুরুষ।
সবচেয়ে কমবয়সী যাত্রীর বয়স ৩ বছর এবং বয়স্ক ব্যক্তির বয়স ছিল ৭৮ বছর। থাইল্যান্ডের দুই নাগরিকদের পরিচয়ও সনাক্ত হয়েছে, তারা দু’জনই ছিলেন নারী, একজনের বয়স ২০ এবং অপরজনের ৪০।
যাত্রীদের মধ্যে অন্তত ৪০ জনের বয়স ছিল পঞ্চাশের কোটায়। এছাড়া ৩৯ জনের ষাটের কোটায়, ৩২ জনের চল্লিশের কোটায়, ২৪ জনের সত্তরের কোটায়, ১০ জনের বিশ, ১৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও শিশু।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমকে উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অনেক যাত্রী আতঙ্কে বিমান থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। নিচে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, বিমানে আগুন ধরে যাওয়ায় ঝলসে মৃত্যু হয়েছে অনেকের।