সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমাসহ ১৮ খেলোয়াড়ের বিদ্রোহের মধ্যেও ক্যাম্প চালিয়ে নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ পিটার জেমস বাটলার। অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলাদেরও অনুশীলনে ডাকতে চান বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ।
এই মুহূর্তে ক্যাম্পে আছেন ১৩ ফুটবলার- ইয়ারজান বেগম, আফঈদা খন্দকার, শাহেদা আক্তার রিপা, স্বপ্না রানী, সুরমা জান্নাত, আইরিন, হালিমা, কোহাতি কিসকু, প্রীতি, জয়নব, আকলিমা, অপির্তা ও মুনকি আক্তার। শনিবার স্ট্রেচিং, রানিংয়ের পাশাপাশি টেকটিক্যাল অনুশীলনও করিয়েছেন বাটলার।
ক্যাম্পের অচলবস্থা কাটেনি। নিজেদের অবস্থানে এখনও অনড় সাবিনা, মনিকারা। অনুশীলনে তাদের অনুপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নন বাটলার। যাদের পাবেন তাদের নিয়েই কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি।
সংস্কারের মধ্যে থাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ফুটবলারদের অনুশীলন। চলতি মাসের শেষে এবং মার্চের শুরুতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। গত অক্টোবরে উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখার পর যা আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাদের প্রথম লড়াই।
অনুশীলন শেষে শনিবার তিনি জানালে, পরিস্থিতি যে দিকেই গড়াব তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন।
“(অনুশীলন) ভালো ছিল, পিচ ভালো ছিল, কোনো সমস্যা নেই… হ্যাঁ, আমরা কাজ চালিয়ে যেতে পারি। আমি বোঝাতে চাইছি, কাজ চলবে। আমরা কাজ চালিয়ে যাব। আমরা পেশাদার এবং সংগঠিত এবং আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আমরা আন্তরিক এবং সৎ থাকব।
“(পরের অনুশীলনেও) তরুণ খেলোয়াড়রা যোগ দেবে; বাকিদের নিয়ে আগ্রহী নই আমি। পরবর্তী অনূর্ধ্ব-২০ বয়সী খেলোয়াড়দের নিয়েই আমার সব আগ্রহ এবং আমার কোনো সন্দেহ নেই যে, তারা গর্বের সাথে এই জার্সি পরে দেশের সেবা করবে এবং দেশের মর্যাদা নষ্ট করবে না। ধন্যবাদ।”
এদিকে নারী ফুটবলের চলমান সঙ্কট সমাধানে একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছে বাফুফে। যার প্রধান বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।