গোপালগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রোববার সারাদেশে হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের ওই চার সহযোগী সংগঠনের এক যৌথ বিবৃতিতে নতুন কর্মসূচির কথা জানানো হয়।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন তাদের নতুন কর্মসূচির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এতে বলা হয়, গোপালগঞ্জে গণহত্যার প্রতিবাদ, ক্যাঙ্গারু কোর্টের প্রহসনমূলক কার্যক্রম বাতিল এবং খুনি-দখলদার-ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এই হরতাল কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
দু’দিন আগে ১৬ জুলাই এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতায় সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে গোপালগঞ্জে পাঁচজন নিহত হন। বেসরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানা গেছে। সংঘাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

এ ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করে আওয়ামী লীগ বলেছে, যেভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা মানুষকে করা হয়েছে তা একাত্তর পূর্ববর্তী নৃশংসতাকেও হার মানায়।
খুনের আলামত নষ্ট করতে লাশ গুম এবং ময়নাতদন্ত ছাড়া তড়িঘড়ি করে কয়েকজনকে সমাহিত করতে বাধ্য করার অভিযোগও তুলেছে দলটি।
আওয়ামী লীগের সহযোগী চার সংগঠনের যৌথ বিবৃতিতে হরতাল কর্মসূচি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, গোপালগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তারা এই হরতাল কর্মসূচি দিয়েছেন।
“মাতৃভূমিকে বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়ার, জঙ্গিঘাঁটি বানানোর এবং দেশকে অকার্যকর, ব্যর্থ ও আইনহীন রাষ্ট্রে পরিণত করার ইউনূসের ষড়যন্ত্র যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে” বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গোপালগঞ্জে হতাহতের ঘটনায় এখনও কোনো মামলা করতে পারেনি নিহত ও আহতদের স্বজনেরা। তবে যৌথবাহিনীর উপর হামলায় জড়িত সন্দেহে ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছে পুলিশ।
এ সম্পর্কিত আরও খবর: