এনসিপি নেতা আখতারের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

রাষ্ট্রীয় আইনজীবী নিয়োগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন দলটির সাবেক এক নেতা। এক্ষেত্রে প্রতিটি পদের বিপরীতে নিয়েছেন ‘৫০ লাখ টাকা’।

শুক্রবার মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে লাইভে এসে এমন অভিযোগ তোলেন সম্প্রতি দল থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি পাওয়া কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদ।

লাইভে আসার আগে তিনি আখতার হোসেনকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য এক ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।

মুনতাসির বলেন, জুলাই-আগস্টের পর বিভিন্ন জেলায় পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছিল, আর সে সুযোগে আখতার হোসেন ও তার ঘনিষ্ঠরা প্রতি নিয়োগে ৫০ লাখ টাকা করে দাবি করেন।

তার দাবি, নরসিংদীর শিরিন আক্তার শেলীর নাম তিনি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা প্রস্তাব করলেও, টাকার বিনিময়ে অন্য একজন নারীর নাম তালিকায় যুক্ত করা হয়। শিরিন আক্তার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন এবং আখতার হোসেনকেও সমর্থন দিয়েছিলেন।

মুনতাসির বলেন, কিন্তু ৫০ লাখ টাকার লোভে তার নাম কেটে দেওয়া হয়।

এনসিপির সাবেক কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদ।

“প্রেস ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে আখতার হোসেন তাকে জানান যে পিপি বানাতে ৫০ লাখ টাকা লাগবে, পরে তার পিএস আতিক মুন্সিকে পাঠানো হয়,” যোগ করেন তিনি

মুনতাসির বলেন, “যখনই আসিফ নজরুল তাকে (শিরিন) পিপি বানিয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিয়ে বলে- আপা ৫০ লাখ টাকা লাগবে, আপনাকে পিপি বানিয়ে দিয়েছি। কাজ হয়ে গেছে, ৫০ লাখ টাকা লাগবে। শিরিন আপা খুশি হয়ে নিজের গাড়িতে বসে আখতারের পিএস আতিক মুন্সিকে খুশি হয়ে এক লাখ টাকা দিয়ে দিয়েছেন। অনেকে সাক্ষী আছে।

“এক লাখ টাকা দেওয়ায় সে (আখতার) রাগে-ক্ষোভে শিরিন আপাকে কল দিয়ে বলে ৫০ লাখ টাকা লাগবে, আমরা যেমন নাম দিতে পারি তেমনি নাম কেটেও দিতে পারি।”

এরকম আরও ‘বহু ঘটনা’ রয়েছে বলে দাবি করেন মুনতাসির। তার ভাষায়, “এটা তো একটা জেলার কথা বললাম। এরকম আরও কত করেছে তা কে জানে?”

দুর্নীতির এসব তথ্য ফাঁস করায় নিজের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে জানিয়ে মুনতাসির বলেন, এনসিপির দুর্নীতিবাজ অন্যান্য নেতাদের তথ্যও তিনি ফাঁস করে দেবেন।

তিনি দাবি করেন, তাকে সমকামী আখ্যায়িত করে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা করার কথা ভাবছেন।

মুনতাসির মাহমুদের অভিযোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা। অধিকাংশ সংবাদপত্র তাদের অনলাইন ভার্সনে আখতারের বিরুদ্ধে তারই সাবেক সহকর্মীর অভিযোগ বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন