দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের অ্যাসেম্বলির জন্য সম্পূর্ণ নতুন শপথবাক্য তৈরি করে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগের শপথে বঙ্গবন্ধু, একাত্তরের চেতনার কথা উল্লেখ থাকলেও নতুনটিতে এসবের চিহ্নমাত্র নেই। নেই পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনা বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের কথা।
বুধবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যেটি এখন থেকে শপথ হিসেবে পাঠ করানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
শপথটি হলো: “আমি শপথ করিতেছি যে মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। অন্যায় ও দুর্নীতি করিব না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিব না। হে মহান আল্লাহ/মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি আদর্শ, বৈষম্যহীন ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।”
এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শপথ পরিবর্তন করেছিল।
ওই শপথে ছিল, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।
আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।”
দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআইয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর নতুন শপথবাক্য পাঠ করাতে বলা হয়েছে।