সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর রমনার বটমূলে শুরু হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪৩২-এর অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই বহু মানুষ বটমূলে উপস্থিত হয়।
ভোর সোয়া ছয়টায় রমনা বটমূলে শিল্পী সুপ্রিয়া দাশের কণ্ঠে ভৈরবী রাগালাপের মাধ্যমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
রাগালাপের পর ‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’ সম্মেলক গান করেন ছায়ানটের শিল্পীরা। এরপর ‘তিমির দুয়ার খোলো’ একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী দীপ্র নিশান্ত।
এভাবে একের পর এক রাগালাপ, গান আর আবৃত্তিতে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে বাংলা নববর্ষকে।
এবার মোট ২৪টি পরিবেশনা হয়। এর মধ্যে ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক কণ্ঠের গান ও ৩টি পাঠ থাকবে। নববর্ষের কথন পাঠ করবেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী। শেষ হয় জাতীয় সংগীত দিয়ে।
সব দর্শনার্থী যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো এ আয়োজন উপভোগ করছেন। মঞ্চের সামনের বসার জায়গা মানুষে পূর্ণ। অনেকে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান দেখছেন। পার্কের ভেতরেও অনেক মানুষ রয়েছেন।
পহেলা বৈশাখের প্রভাতে কণ্ঠ ও যন্ত্রশিল্পী মিলে প্রায় ১৫০ জনের সুরবাণীতে নতুন বছরকে আবাহন জানানো হয়।
রমনা বটমূলে আসা দর্শনার্থীরা এসেছিলেন বৈশাখী সাজে। নারীদের বেশির ভাগ শাড়ি পরে এসেছেন। পুরুষদের পরনে পাঞ্জাবি বেশি। শাড়ি–পাঞ্জাবির রঙে লাল-সাদার আধিক্য। শিশু-কিশোরদের পোশাকেও লাল-সাদার প্রাধান্য দেখা গেছে।
এবার ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। আলো, প্রকৃতি, মানুষ ও দেশপ্রেমের গান দিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের অনুষ্ঠান।