প্রার্থনালয়ে উচ্চ শব্দ নয়: মুম্বাই হাইকোর্ট

Mumbai High Court

উপাসনালয় ও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ‍উচ্চ শব্দ রোধে মহারাষ্ট্র পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের একটি আদালত।

আদালত বলেছে, উচ্চ শব্দের সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই, তাই এ ধরনের কার্যক্রম আবশ্যকও নয়।

‘জাগো নেহেরু নগর রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের’ একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার মুম্বাই হাইকোর্ট এই নির্দেশনা ও পর্যালোচনা দিয়েছে।

আদালত রাজ্য সরকার ও পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে বলেছে, লাউড স্পিকার ও বক্স আইটেমে শব্দ নিরোধক কৌশল প্রয়োগ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

সকল প্রার্থনাস্থল, মন্দির-মসজিদ-গির্জায় শব্দ নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ব্যবহার অথবা সেখানকার মাইকগুলোতে এমন কোনও যন্ত্র বসাতে হবে যাতে শব্দ নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে থাকে।

মুম্বাই হাইকোর্টের বিচারপতি এএস গড়করি ও এসসি চন্দকের বেঞ্চ আরও বলেছে, শব্দআইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা পুলিশের আছে। শব্দদূষণ বিধি, ২০০০ প্রয়োগ ও কঠোরভাবে তা নিশ্চিতের অধিকার পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।

আদালত আরও বলেছে, সাধারণত এলাকার বাসিন্দারা ভয়ে-ভীতিতে কোনও অভিযোগ করেন না, যতক্ষণ না সেই শব্দ তাদের পক্ষে অসহ্য এবং বরদাস্ত করার বাইরে চলে না যায়।

“কিন্তু, আমরা মনে করি, অভিযোগ পর্যন্ত অপেক্ষা নয়। পুলিশকে নির্দিষ্ট অভিযোগের আগেই আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।”

একইসঙ্গে পুলিশের হাতে শব্দের মাত্রা পরিমাপের যন্ত্র দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

জাগো নেহেরু নগর রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামের ওই সংগঠনের আইনজীবী কৌশিক মাহত্রে তার আবেদনে বলেন, পূর্ব কুরলার নেহরু নগর ও চুনাভাট্টি এলাকায় বেশ কয়েকটি মসজিদ এবং মাদ্রাসা রয়েছে। মসজিদগুলোতে লাউড স্পিকার লাগানো আছে। যেগুলোর শব্দ স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অসহ্য হয়ে উঠছে।

তিনি বলেন, সকাল ৫টা থেকে অর্থাৎ যে সময় মাইক বাজানো আইনত নিষিদ্ধ, সে সময়ে এবং উৎসবের সময় রাত দেড়টা পর্যন্ত মাইক বাজানো হয়ে থাকে, যা বিধিবদ্ধ শব্দমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।

চুনাভাট্টি বা নেহেরু নগর থানায় বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও আবেদনে উল্লেখ করেন মাহত্রে।

বেঞ্চ সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর পর্যবেক্ষণ দেয়।

একই সঙ্গে উল্লেখ করা হয়, মুম্বাই একটি মিশ্র জনজাতির শহর। এই শহরের কোণায় কোণায় বিভিন্ন ভাষা-ধর্মের মানুষ বসবাস করেন। আবেদনকারীদের আর্জির পাশাপাশি শব্দদূষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এমনকী এই আদালতের আগের নির্দেশগুলো কার্যকর করা হোক।

আরও পড়ুন