যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মাঝ–আকাশে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ও সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের পর অন্তত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারে যে ৬৭ জন আরোহী ছিলেন তাদের কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুধবার রাতে ওয়াশিংটনের রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরের কাছে মাঝ–আকাশে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের পর দুটোই বিধ্বস্ত হয়ে পটোম্যাক নদীতে পড়ে।
ওয়াশিংটন ডিসি ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেসের প্রধান জন ডোনেলি বলেন, “প্রায় ৩০০ জন উদ্ধারকারী রাবারের নৌকায় করে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন এবং উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।”
এ ঘটনায় কারো বেঁচে থাকার আশা করতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।
আমেরিকান এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, তাদের পরিচালনাধীন উড়োজাহাজটিতে ৬৪ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ৬০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু।
আর সামরিক প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টারটিতে তিন জন মার্কিন সেনা সদস্য ছিলেন ছিলেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হেদার চাইরেজ।
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে এটিই সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।
১৯৮২ সালে পটোম্যাক নদীর ওপর ফোরটিনথ স্ট্রিট ব্রিজে এয়ার ফ্লোরিডা ফ্লাইট ৯০ বিধ্বস্ত হয়েছিল। এ ঘটনায় ৭০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু নিহত হন। শুধু চার যাত্রী ও একজন ক্রু বেঁচে ফিরতে পেরেছিল সেসময়।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষ হওয়ার আগে হেলিকপ্টারটিকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণকক্ষে রেকর্ড হওয়া কথোপকথন থেকে এমন তথ্য জানতে পেরেছে সিএনএন।
এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারের পাইলটের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে আমেরিকান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটিকে দেখা যাচ্ছে কি না। তখন নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে হেলিকপ্টারের পাইলটের উদ্দেশে বলা হয়, “পিএটি টু-ফাইভ, আপনি কি সিআরজে উড়োজাহাজটিকে দেখতে পাচ্ছেন?” এরপর নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে আবার বলা হয়, “পিএটি টু-ফাইভ, সিআরজে উড়োজাহাজের পেছন দিক দিয়ে পার হন।”
সংঘর্ষের আগমুহূর্তে নিয়ন্ত্রণকক্ষের আরেকটি অডিওতে হেলিকপ্টারের পাইলটকে বলতে শোনা যায়, “উড়োজাহাজটিকে দেখতে পেয়েছে পিএটি টু-ফাইভ, ভিজ্যুয়াল সেপারেশনের অনুরোধ জানাচ্ছি।”