হাতে জামাকাপড় ধুতে পছন্দ করেন না অনেকেই। তাই সেক্ষেত্রে ওয়াশিং মেশিনই প্রথম পছন্দ। অনেকেই ভাবেন জামাকাপড় ছাড়া আর কিছুই কাচা যায় না ওয়াশিং মেশিনে। সে কারণে গেরস্থালির বহু সামগ্রীই হাতে কেচে নেন বহু গৃহবধূ। তবে সে সব অতীত, জানেন কী পোশাক আশাক ছাড়াও গেরস্থালি আরও বহু সামগ্রীই কাচা যায় ওয়াশিং মেশিনে।
বাড়ির দরজা, জানলায় থাকা পর্দা অনায়াসে ওয়াশিং মেশিনে ধুতে পারেন। কিন্তু তার জন্য বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে পর্দার উপরের অংশের লাগানো থাকা রিংগুলোকে একটি দড়ির সাহায্যে বেঁধে নিতে হবে। তারপর তা ওয়াশিং মেশিনে ধুতে দিতে হবে। তাতে পর্দার কোনও ক্ষতি হবে না।
আপনার ব্যবহার করা ব্যাগও ওয়াশিং মেশিনে ধুতে পারেন। আগে দেখে নেবেন ব্যাগের ভিতরে যেন পেন, পেনসিল জাতীয় কোনও ছোট জিনিসপত্র থেকে না যায়। ব্যাগ ধুতে দেওয়ার সময় ভিতরে তোয়ালে রেখে দেবেন। তাতে ব্যাগের আকারের কোনও বদল হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
আপনার বাড়িতে কি খুদে সদস্য রয়েছে? তবে তো সফট টয় থাকবেই। সেই সফট টয় ওয়াশিং মেশিনে কাচতে পারেন। সেক্ষেত্রে কিছুটা বড় আকারের বালিশের কভার নিন। ওই বালিশের কভারের মধ্যে সফট টয়গুলি ঢুকিয়ে দিন। মুখটা ভালো করে বেঁধে ফেলুন। তারপর ওয়াশিং মেশিনে কাচতে দিন। তাতে সফট টয়গুলোর কোনও ক্ষতি হবে না।
পোষ্যের গলার বেল্টও আপনি ওয়াশিং মেশিনে কাচতে পারেন। তবে আগে ব্রাশ দিয়ে ভালো করে বেল্টটি পরিষ্কার নিন। জীবাণুর হাত থেকে পোষ্যকে রক্ষা করতে চেষ্টা করুন গরম পানি দিয়ে ধুতে। পরে কড়া রোদে তা শুকিয়ে নিন।
শরীরচর্চার জন্য যোগাসন করেন অনেকেই। ওই যোগা ম্যাটও চাইলে ওয়াশিং মেশিনে কাচতে পারেন। অবশ্যই ঠান্ডা জলে জেন্টল সাইকেল মোডে কাচতে হবে। জলে এক চা চামচ হোয়াইট ভিনিগার দিতে পারেন।