বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
রোববার সকালে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তাকে আটকে দেওয়া হয়। পরে তাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর ভাটারা থানার একটি ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
জুলাই আন্দোলনে সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও বিগত আওয়ামী লীগের আমলে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল এই অভিনেত্রীকে।

সেসময় তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয়ের কথা জানার পর নিজেকে দেশের সব থেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়েছিল। কারণ, এ পর্যন্ত কেউ পর্দায় তার চরিত্রে অভিনয় করেনি। তবে ভবিষ্যতে কেউ করবে কি না তা জানি না।
তিনি আরও বলেছিলেন, “আমার তো মনে হয় ভবিষ্যতে যদি আর কোনোদিন অভিনয় নাও করি, তাহলে আক্ষেপ থাকবে না। এই চরিত্রে অভিনয়ের যে সুযোগ অর্জন করেছি, সেটাই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।”
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ওই সিনেমাটি পরিচালনা করেন ভারতের শ্যাম বেনেগাল। সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ ও বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছার বড়বেলার চরিত্রে অভিনয় করেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, যিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর স্ত্রী।
পুলিশের বাড্ডা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার শফিকুল ইসলাম নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক সাংবাদিকদের বলেছেন, ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে তাদের টিম বিমানবন্দর থেকে তাকে নিয়ে এসেছে।
তবে তাকে থানায় না রেখে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ভাটারা থানা পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নুসরাত ফারিয়া চলচ্চিত্রের পাশাপাশি মডেলিং ও সঞ্চালনায়ও সক্রিয় ছিলেন।