পুতিনের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা ফোনালাপ; ট্রাম্প বললেন, ‘দুইপক্ষ রাজি’

২০১৭ সালে জি২০ সম্মেলনে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০১৭ সালে জি২০ সম্মেলনে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় ডোনাল্ড ট্রাম্প।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যাকে ফলপ্রসূ আলোচনা হিসেবেই দেখছেন পর্যবেক্ষকরা।

ফোনালাপে ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে আলোচনা শুরুর বিষয়ে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছেন বলে জানান ট্রাম্প।

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, তিনি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘অতি দ্রুত আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছেন’।

তারা একে অপরকে নিজেদের রাজধানী সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও ট্রাম্প ফোনে কথা বলেছেন, যাকে তিনি ‘স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য শান্তির’ বিষয়ে আলোচনা বলে অভিহিত করেছেন।

যুদ্ধরত দুটি দেশের কাছ থেকে এমন এক সময় এই আহ্বান এলো যখন ট্রাম্প এবং তার প্রতিরক্ষা সচিব দুইজনই বলেছেন ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদানের সম্ভাবনা কম।

এদিকে শুক্রবার মিউনিখে ইউক্রেন সংক্রান্ত এক প্রতিরক্ষা শীর্ষ সম্মেলনের সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং স্টেট সেক্রেটারি মার্কো রুবিও’র সাথে দেখা করবেন জেলেনস্কি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্প আরও লিখেছেন, “এখনই এই নৃশংস যুদ্ধ বন্ধ করার সময় এসেছে, যেখানে ব্যাপক এবং সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় ‘মৃত্যু এবং ধ্বংসযজ্ঞ’ হয়েছে। বিধাতা রাশিয়া এবং ইউক্রেনের জনগণের মঙ্গল করুন!”

অবশ্য পুতিনের সাথে কবে সরাসরি সাক্ষাৎ হবে তা জানাননি ট্রাম্প। পরে তিনি এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সৌদি আরবে দেখা করবো।”

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, “একসাথে কাজ করার সময় এসেছে–– ট্রাম্পের এই ধারণাকে সমর্থন করেন পুতিন।”

পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ফোনালাপ চলে বলেও জানান পেসকভ।

ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেনের ২০১৪ সালের আগের সীমান্তে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে ওই জমির কিছু অংশ ফিরে আসবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন তিনি তার ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথের সাথে একমত। যিনি বুধবার ন্যাটো সম্মেলনের শুরুতে বলেছিলেন যে ইউক্রেনের সামরিক জোটে যোগদানের কোনো সম্ভাবনা নেই।

আরও পড়ুন