অনলাইন সিস্টেমে হ্যাকারদের হানা, হামজাদের ম্যাচের টিকিট বিক্রি বন্ধ

হামজাদের ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে টিকিট বিক্রির বিভ্রাটের খবর।
হামজাদের ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে টিকিট বিক্রির বিভ্রাটের খবর।

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনার মধ্যে ‘অনলাইন সিস্টেম’ সাইবার আক্রমণের শিকার হওয়ায় ভোগান্তি এড়াতে টিকিট বিক্রি বন্ধ রেখেছে বাফুফে।

এ বিষয়ে বাফুফে কম্পিটিশন কমিটির সদস্য তাজওয়ার আউয়াল বলেন, “টিকিটের বিষয়ে যে সমস্যা হয়েছে সেটার জন্য আমরা সাইবার সিকিউরি এক্সপার্ট দিয়ে চেক করেছি। আমাদের ওয়েবসাইটে দুটা অ্যাটাক হয়েছিল। একটা বনানী ও আরেকটা বাড্ডার দিকে ছিল অ্যাটাক। টিকিফাই ওদের আইনের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে । তবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো টিকিটগুলো অনলাইন করা। এটার জন্য ব্যাকআপ সিকিউরটি সিস্টেম ক্রিয়েট করেছি। চাইছি না দ্বিতীয়বার লাইভে গিয়ে সার্ভার যেন ডাউন হয়ে না যায়।”

কখন আবার টিকিট ছাড়া হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আজ রাতের মধ্যে ইনশাল্লাহ শুরু হয়ে যাবে টিকিট বিক্রি। তবে যতক্ষণ না শতভাগ নিশ্চিয়তা দিতে পারব (সার্ভার) ডাউন হবে না ততক্ষণ টিকিট বিক্রি করব না। “

তিনি যোগ করেন, “আমাদের যে সাইবার সিকিউরি এক্সপার্ট যাদের নিয়োগ করেছি ওরা বাংলাদেশের সেরা। উনারা যে পরামর্শ যে গাইডলাইন দিচ্ছে এটা ফলো করলে বাকি টিকিটের অংশ যেটা বিক্রি করতে হবে সেই টিকিটগুলো সাকসেসফুলি বিক্রি করতে পারব।”

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে টিকিফাই ডট লাইভের বিষয়ে সমালোচনা হয়েছিল আদৌ কি প্রতিষ্ঠানটি এত দর্শক চাপ সামলাতে পারবে? সেদিন টিকিফাই কর্মকর্তা আশ্বস্ত করলেও বাস্তবে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এ ব্যাপারে তাজওয়ার আউয়ালের ব্যাখ্যা, “অভিজ্ঞতা নেই টিকিফাইয়ের। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ইফতি সাহেব কি বলেছিলেন সেটা উনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে উনারা আমাদের যে প্রেজন্টেশন দিয়েছিলেন প্রক্রিউরমেন্ট কমিটির কাছে আমরা ওদের প্রেজেন্টশেনের ওপরে যে ফাইনানশিয়াল ইনফরমেশন দরকার ছিল সেটার বেসিসে বেস্ট ডিসিশান নিয়েছি। ওরা এখনও প্রমিজ করছে ওরা পারবে। আসলে বাংলাদেশে এত বড় কাজ আগে কেউ করেনি।”

তিনি জানান এক সঙ্গে প্রচুর মানুষ ওয়েবসাইটে লগ ইন করায় এমন সমস্যা হয়েছে, “দেখুন প্রথম দশ মিনিটে ১ লাখ প্লাস লোক টিকিট কিনতে লগ ইন করেছে। যেখানে আমাদের টিকিট আছে মাত্র ১৮ হাজার ৩শ। এখানে এটা মিস আপ হতেই পারে। যে চাহিদা বা ভিশন নিয়েছি আমরা সেটা হলো বাংলাদেশি কোম্পানিকে প্রমোট করতে চাই। যেহেতু ওরা অভিজ্ঞ, আতিফ আসলামের কনসার্ট করেছে। তবে মে বি একটা ভুল হয়ে গেছে। যখন দুই জায়গা থেকে অ্যাটাক হয় তার মানে কেউ না কেউ তো ষড়যন্ত্র করেছে। আমাদের দরকার ক্লিনভাবে কিভাবে সব কিছু রিকভার করে, নিউট্রাল ও স্বচ্ছভাবে দর্শকের কাছে যেন টিকিট দিতে পারি। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”

যারা টিকিট কিনেছে অনেকের টিকিটের সঙ্গে ই-মেইল মিলছে না। তারা মাঠে গিয়ে কি কোনও সমস্যায় পড়বেন? এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত ৩৫০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে। কিছু টিকিট মিচ ম্যাচ হয়েছে ইমেলের সঙ্গে। আমরা এসব বিষয়ে ফিজিকাল ও ফরেনসিক অডিট করব। কোন টিকিট মিচ ম্যাচ হয়েছে, কার পেমেন্ট হয়েছে, প্লাস টিকিট ম্যাচ করে নাকি আমাদের সঙ্গে, সেটার চেক করব। ভুল ত্রুটি কারেকশনান করব। যারা টিকিট পেমেন্ট করেছেন ওনারা টিকিট পাবেন।”  

আরও পড়ুন