ট্রাম্পের কল্পিত দুর্গনির্ভর বিশ্বব্যবস্থা

প্রতীকী।
প্রতীকী।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিগুলোর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো—এখনও অনেক মানুষ এসব নীতিতে বিস্মিত হয়। যখনই ট্রাম্প বৈশ্বিক উদারনৈতিক শৃঙ্খলার কোনও একটি স্তম্ভে আঘাত করেন—যেমন, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার দাবি সমর্থন করা, গ্রিনল্যান্ড দখলের পরিকল্পনা করা, অথবা আমদানি শুল্ক আরোপ করে অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা—তখন সংবাদ শিরোনামগুলোতে বিস্ময় ও অবিশ্বাস প্রকাশ পায়। 

অথচ ট্রাম্পের নীতিগুলো এতটাই ধারাবাহিক ও তার দৃষ্টিভঙ্গি এতটাই স্পষ্ট যে, এখনও যদি কেউ এতে আশ্চর্য হন, তাহলে সেটা হয় আত্মপ্রবঞ্চনা, না হলে কিছুই নয়।

উদারনৈতিক শৃঙ্খলার সমর্থকেরা বিশ্বকে এক ধরনের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে লাভবান হওয়া যায়—এমন একটি নেটওয়ার্ক হিসেবে দেখেন। তারা বিশ্বাস করেন, সংঘাত অনিবার্য নয়। কারণ সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় পক্ষই উপকৃত হতে পারে। এই বিশ্বাস একটি গভীর দার্শনিক চিন্তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

উদারনীতিবাদীরা মনে করেন, সব মানুষের মধ্যে কিছু সাধারণ অভিজ্ঞতা ও স্বার্থ রয়েছে, যা বিশ্বজনীন মূল্যবোধ, বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন, সব মানুষই রোগ-ব্যাধিকে ঘৃণা করে এবং সংক্রামক রোগের বিস্তার ঠেকাতে তাদের একটি যৌথ স্বার্থ রয়েছে। তাই চিকিৎসা জ্ঞান ভাগাভাগি করা, মহামারি নির্মূলের জন্য বৈশ্বিক উদ্যোগ নেওয়া এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, যারা এসব উদ্যোগ সমন্বয় করে—এসব উদ্যোগ সব দেশকেই উপকার দেয়।

এভাবেই, যখন উদারনীতিবাদীরা বিভিন্ন দেশ থেকে ধারণা, পণ্য বা মানুষের চলাচলের দিকে তাকান, তখন তারা এটিকে প্রতিযোগিতা বা শোষণের মাধ্যমে নয়, বরং পারস্পরিক লাভের সম্ভাবনা হিসেবেই দেখেন।

অন্যদিকে, ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গিতে পৃথিবী একটি শূন্য-সমষ্টিক (zero-sum) খেলার মতো। এতে প্রতিটি লেনদেনে কেউ না কেউ জেতে আর কেউ না কেউ হারে। তাই চিন্তা, পণ্য বা মানুষের মুভমেন্টকে ট্রাম্পের চোখে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হয়। তার মতে, আন্তর্জাতিক চুক্তি, প্রতিষ্ঠান বা আইন—এসব কিছুই কোনো না কোনো দেশের ক্ষতি করার জন্য, আরেকটি দেশের বা একটি বিশ্বব্যাপী গোপন অভিজাত শ্রেণির উপকারের জন্য তৈরি।

তাহলে প্রশ্ন ওঠে, ট্রাম্পের কাঙ্ক্ষিত বিকল্পটা কী? তিনি তার ইচ্ছামতো বিশ্বকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে পারলে সেই পৃথিবীটি দেখতে কেমন হতো?

ট্রাম্পের কল্পনায় আদর্শ বিশ্ব হলো দুর্গে ভরা একটি মোজাইক বা বিচ্ছিন্ন চিত্রপট, যেখানে প্রতিটি দেশ আর্থিক, সামরিক, সাংস্কৃতিক এবং শারীরিকভাবে উঁচু প্রাচীর দিয়ে একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে থাকে। এই দৃষ্টিভঙ্গি পারস্পরিক সহযোগিতার সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে। তবে ট্রাম্প এবং তার মতো মতাদর্শে বিশ্বাসীরা বলেন, এই ধরনের ব্যবস্থা দেশগুলোর জন্য আরও স্থিতিশীলতা ও শান্তি বয়ে আনবে।

তবে এই দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান অনুপস্থিত। হাজার হাজার বছরের ইতিহাস আমাদের শেখায়, প্রতিটি দুর্গই একটু বেশি নিরাপত্তা, সম্পদ এবং এলাকা নিজের জন্য চায়—প্রায়ই সেটা তাদের প্রতিবেশীদের ক্ষতির বিনিময়ে। যদি বিশ্বব্যাপী কোনো সাধারণ মূল্যবোধ, বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান কিংবা আন্তর্জাতিক আইন না থাকে, তাহলে এসব প্রতিদ্বন্দ্বী দুর্গের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে তা কীভাবে মীমাংসা হবে?

ট্রাম্পের সমাধান খুব সরল: সংঘাত এড়ানোর উপায় হলো—দুর্বলরা যেন শক্তিশালীদের সব কথা মেনে নেয়। এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, সংঘাত কেবল তখনই ঘটে, যখন দুর্বল পক্ষ বাস্তবতা মানতে অস্বীকার করে। তাই যুদ্ধের দায় সবসময় দুর্বল পক্ষের ওপর বর্তায়।

ট্রাম্প যখন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জন্য ইউক্রেনকেই দোষারোপ করলেন, তখন অনেকেই বুঝে উঠতে পারলেন না যে, তিনি কীভাবে এত অযৌক্তিক ধারণা পোষণ করতে পারেন। কেউ কেউ ভাবলেন, তিনি হয়তো রুশ প্রোপাগান্ডায় প্রভাবিত হয়েছেন। কিন্তু এটার আরও সরল ব্যাখ্যা রয়েছে। ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গিতে ন্যায়বিচার, নৈতিকতা বা আন্তর্জাতিক আইনের কোনো গুরুত্ব নেই—আন্তর্জাতিক সম্পর্কে শুধু শক্তিই মুখ্য বিষয়। যেহেতু ইউক্রেন রাশিয়ার চেয়ে দুর্বল, তাই তার উচিত ছিল আত্মসমর্পণ করা। ট্রাম্পের দৃষ্টিতে শান্তি মানে আত্মসমর্পণ। আর যেহেতু ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করেনি, তাই যুদ্ধের দায় তার নিজের।

একই যুক্তি ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখলের পরিকল্পনার পেছনেও কাজ করে। ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, যদি তুলনামূলকভাবে দুর্বল ডেনমার্ক যুক্তরাষ্ট্রকে গ্রিনল্যান্ড ছেড়ে দিতে অস্বীকার করে, আর তারপর শক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্র জোরপূর্বক গ্রিনল্যান্ড দখল করে নেয়, তাহলে এর ফলে যে সহিংসতা ও রক্তপাত হবে, তার পুরো দায়ই পড়বে ডেনমার্কের ওপর।

কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী দুর্গগুলো যদি বাস্তবতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে চুক্তি করে চলতে চায়, তাহলে সংঘাত এড়ানো সম্ভব—এই ধারণায় অন্তত তিনটি স্পষ্ট সমস্যা রয়েছে।

প্রথমত, এটি সেই প্রতিশ্রুতির ভেতরের মিথ্যাকে প্রকাশ করে দেয়, যেখানে বলা হয় যে দুর্গে বিভক্ত একটি বিশ্বে প্রতিটি দেশ আরও নিরাপদ বোধ করবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে নিজস্ব ঐতিহ্য ও অর্থনীতির বিকাশে মনোযোগ দিতে পারবে। বাস্তবে, দুর্বল দুর্গগুলো অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের শক্তিশালী প্রতিবেশীদের গ্রাসে পরিণত হবে। এই প্রক্রিয়ায় জাতীয় দুর্গগুলো রূপ নেবে বিশাল বহুজাতিক সাম্রাজ্যে।

এই বিষয়ে ট্রাম্প নিজেও একেবারে স্পষ্ট। তিনি একদিকে যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ভৌগোলিক সীমানা ও সম্পদ রক্ষায় দেয়াল তৈরি করেন, অন্যদিকে তেমনি অন্য দেশগুলোর জমি ও সম্পদের প্রতি লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকান—এমনকি সেই দেশগুলোর প্রতিও, যারা অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ছিল। ডেনমার্কই এর একটি স্পষ্ট উদাহরণ। দশকের পর দশক ধরে ডেনমার্ক ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্রদের একটি। ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর, ডেনমার্ক আন্তরিকভাবে তার ন্যাটো চুক্তির বাধ্যবাধকতা পালন করেছে। আফগানিস্তানে ৪৪ জন ড্যানিশ সৈন্য নিহত হয়—জনসংখ্যার অনুপাতে যা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়ও বেশি। ট্রাম্প সেই আত্মত্যাগের জন্য ‘ধন্যবাদ’ বলা তো দূরের কথা, বরং তিনি আশা করেন ডেনমার্ক যেন তার সাম্রাজ্যবাদী আকাঙ্ক্ষার কাছে মাথা নত করে। তার কার্যক্রম স্পষ্ট করে দেয়, তিনি মিত্র চান না—চান অধীনস্থ রাষ্ট্র।

দ্বিতীয় সমস্যা হলো, কোনো দুর্গই দুর্বল থাকতে পারবে না, তাই সব দেশই প্রবল চাপের মধ্যে পড়বে নিজেদের সামরিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য। এর ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক খাত থেকে সম্পদ সরিয়ে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়বে। এই অস্ত্র প্রতিযোগিতা সবাইকে গরিব করবে, কিন্তু কাউকেই নিরাপদ অনুভব করাবে না।

তৃতীয় সমস্যা হলো, ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে দুর্বলদের শক্তিশালীদের কাছে আত্মসমর্পণ করা উচিত। কিন্তু এখানে প্রশ্ন হলো—কে শক্তিশালী আর কে দুর্বল, তা নির্ধারণের কোনো পরিষ্কার পদ্ধতি নেই। ইতিহাসে যেমন প্রায়ই দেখা গেছে, দেশগুলো ভুল হিসাব করে। যেমন, ১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র মনে করেছিল, তারা উত্তর ভিয়েতনামের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং পর্যাপ্ত চাপ প্রয়োগ করলে হ্যানয়ের সরকার চুক্তি করতে বাধ্য হবে। কিন্তু উত্তর ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেয়নি, বরং প্রবল প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রতিরোধ চালিয়ে যায়—এবং শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ জিতে যায়। প্রশ্ন হলো, যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে আগেই বুঝবে যে, আসলে তার অবস্থান দুর্বল?

ঠিক একইভাবে, ১৯১৪ সালে জার্মানি ও রাশিয়া—উভয়েই বিশ্বাস করেছিল, তারা বড়দিনের আগেই যুদ্ধে জয় লাভ করবে। কিন্তু তারা ভুল হিসাব করেছিল। যুদ্ধ প্রত্যাশার চেয়ে অনেক দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল এবং এতে অনেক অপ্রত্যাশিত মোড় ও জটিলতা দেখা দেয়। 

১৯১৭ সালে পরাজিত জারপন্থী রাশিয়া বিপ্লবের মুখে পড়ে, কিন্তু জার্মানি বিজয় লাভ করতে পারেনি—কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অপ্রত্যাশিত হস্তক্ষেপ যুদ্ধের গতিপথ পাল্টে দেয়। তাহলে কি ১৯১৪ সালেই জার্মানির উচিত ছিল একটি সমঝোতায় যাওয়া? না কি রুশ জারেরই উচিত ছিল বাস্তবতা মেনে নিয়ে জার্মানির শর্তে আত্মসমর্পণ করা?

বর্তমানে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন ওঠে—এই পরিস্থিতিতে কে আগেভাগে আত্মসমর্পণ করবে, কে “বুঝদার” আচরণ করবে? আপনি হয়তো বলবেন, এই ধরনের শূন্য-ফলাফল (zero-sum) দৃষ্টিভঙ্গির বদলে সব দেশ মিলে পারস্পরিক সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করাই উত্তম। কিন্তু আপনি যদি এমন ভাবেন, তাহলে আপনি মূলত ট্রাম্পের বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিকেই অস্বীকার করছেন।

ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি নতুন কিছু নয়। উদারনৈতিক বিশ্বব্যবস্থার আগমনের বহু আগেই এটি ছিল প্রাধান্য পাওয়া দৃষ্টিভঙ্গি। ট্রাম্পীয় ফর্মুলা ইতিহাসে বহুবার প্রয়োগ করা হয়েছে। আর আমরা জানি—সাধারণত এটি কোথায় গিয়ে ঠেকে: এক অবিরাম সাম্রাজ্য গঠন ও যুদ্ধের চক্রে। 

আরও ভয়ংকর বিষয় হলো, ২১শ শতকে এই প্রতিদ্বন্দ্বী দুর্গগুলোকে যুদ্ধের পুরনো হুমকি ছাড়াও মোকাবিলা করতে হবে নতুন সঙ্কটগুলোর—যেমন জলবায়ু পরিবর্তন ও অতি-বুদ্ধিমান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থান। দৃঢ় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা না থাকলে এই বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান নেই। যেহেতু ট্রাম্পের কাছে জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা নিয়ন্ত্রণহীন এআই মোকাবিলার কোনো কার্যকর সমাধান নেই, তাই তার কৌশল হলো—এই সমস্যাগুলোর অস্তিত্বই অস্বীকার করা।

২০১৬ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই উদারনৈতিক বিশ্বব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে যায়। এক দশকের বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তার পর, এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি এক নতুন বাস্তবতা—উদারনৈতিক বিশ্বব্যবস্থার জায়গা নিচ্ছে এক বিশৃঙ্খল, অনউদারনৈতিক বিশ্ব। যে দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বকে একটি সহযোগিতার নেটওয়ার্ক হিসেবে কল্পনা করা হয়েছিল, তা এখন বদলে যাচ্ছে দুর্গভিত্তিক একটি বিশ্বে। 

আমাদের চারপাশে এই রূপান্তরের চিহ্ন স্পষ্ট—নতুন দেয়াল উঠছে, সেতুগুলো উঠিয়ে রাখা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে স্বল্পমেয়াদে এর ফলাফল হবে বাণিজ্য যুদ্ধ, অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও সাম্রাজ্যবাদী সম্প্রসারণ। আর দীর্ঘমেয়াদে এর ফলাফল হতে পারে বৈশ্বিক যুদ্ধ, পরিবেশগত বিপর্যয় এবং নিয়ন্ত্রণহীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিস্তার।

আমরা এই পরিবর্তনে দুঃখিত ও ক্ষুব্ধ হতে পারি এবং এগুলো প্রতিহত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু অবাক হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। আর যারা ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করতে চান, তাদের একটিই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া উচিত: যদি কোনো সাধারণ মূল্যবোধ বা বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক আইন না থাকে, তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় দুর্গগুলো কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক বিরোধ মীমাংসা করবে?

লেখক পরিচিতি : ফাইন্যান্সিয়্যাল টাইমসে ভূরাজনীতির ওপর লেখা মতামতটির লেখক ইয়ুভাল নোয়া হারারি একজন প্রভাবশালী ইতিহাসবিদ। গভীর বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে আধুনিক বিশ্বকে নতুনভাবে বুঝতে সাহায্য করেছেন তিনি। ১৯৭৬ সালে ইজরায়েলে জন্মগ্রহণকারী হারারি অক্সফোর্ড থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তার বিখ্যাত বই “স্যাপিয়েন্স”-এ তিনি মানব সভ্যতার বিবর্তনকে কৃষি, বিজ্ঞান ও শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেছেন। অন্য বই “হোমো ডিউস”-এ তিনি ভবিষ্যতের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে আলোচনা করেন। হারারির মতে, মানব সমাজ কল্পনা ও গল্পের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আর ভবিষ্যতে ডেটাই হবে নতুন ক্ষমতার কেন্দ্র।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads