বর্তমানে ঘোষণা দিয়ে ৪০ হাজার টাকা কর পরিশোধ করে একজন যাত্রী বছরে যতবার ইচ্ছা ১০ ভরি স্বর্ণ আনার সুযোগ পেলেও তা আর থাকছে না। আগামীতে এ সুবিধা বছরে কেবল একবারই পাবেন একজন যাত্রী।
১৯ মে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনবিআরের কর্মকর্তারা এমন প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে বলে বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করার, এবং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য কিছু কর-সুবিধার বিষয়েও আলোচনায় অনুমোদন পাওয়া গেছে।
বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানির অনুমতি থাকলেও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতারা বলে আসছেন, আমদানির তুলনায় ব্যাগেজ রুলসের আওতায় স্বর্ণ আনা তুলনামূলক সস্তা। তাই অনেকে আমদানির বদলে যাত্রীদের মাধ্যমে ব্যাগেজ রুলস ব্যবহারে বেশি আগ্রহী।
২০১৮ সালে দেশে বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। ওই বছর থেকে চার বছরে দেশে এসেছে মাত্র ১৪৫ কেজি স্বর্ণ।
দেশে স্বর্ণের যে বার্ষিক চাহিদা রয়েছে, তার এক শতাংশও বাণিজ্যিকভাবে আমদানি হয়নি বলে পরিসংখ্যান বলছে।
তবে ব্যাগেজ রুলসের আওতায় প্রতিদিন শত কেজির বেশি স্বর্ণ দেশে প্রবেশ করছে, যা আইনি হলেও আমদানির হিসাব ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকছে।
ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন নারী যাত্রী ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালঙ্কার বিনা শুল্কে আনতে পারেন।