ভারতের ১২টি ড্রোন নিষ্ক্রিয়, একজন নাগরিক নিহতের দাবি পাকিস্তানের

Indian drone

পাকিস্তানের একাধিক স্থানে ১২টি ভারতীয় ড্রোন ‘নিষ্ক্রিয়’ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এই ঘটনায় একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন পাকিস্তানের চার সেনাসদস্য।

ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি প্রাণঘাতী হামলার এক দিন পর বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটল।

বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এর মহাপরিচালক আহমেদ শরিফ চৌধুরি অভিযোগ করে বলেছেন, ভারত গত রাতে পাকিস্তানের দুই প্রধান শহর করাচি ও লাহোরসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হারোপ ড্রোন পাঠিয়েছে। সেগুলো গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

ভারতীয় ড্রোনের পাকিস্তানের ‘আকাশসীমা লঙ্ঘনকে আরেকটি নির্লজ্জ সামরিক আগ্রাসন’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও সিন্ধুর বিভিন্ন স্থানে ড্রোনগুলোর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য লোকজন জড়ো হয়।

পাকিস্তানের বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসলামাবাদ, করাচি ও লাহোর—এই তিন প্রধান শহরের বিমানবন্দর আজ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

পাকিস্তানের এই অভিযোগের বিষয়ে রয়টার্সের জাননো মন্তব্যের অনুরোধে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

এদিকে পাকিস্তানের সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় রাজ্য রাজস্থান ও পাঞ্জাবে উচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। রাজস্থানের গঙ্গানগর থেকে গুজরাটের কচ্ছের রণ পর্যন্ত সীমান্ত বরাবর আকাশপথে সুখোই-৩০ যুদ্ধ বিমান নিয়ে টহল দিচ্ছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। ওই অঞ্চলে ড্রোন বিধ্বংসী ব্যবস্থাও মোতায়েন করেছে ভারতীয় বাহিনী।

বুধবার প্রথম প্রহরে পাকিস্তানের ছয়টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে পাকিস্তান। বুধবারও কাশ্মীর সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ।

পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) তথ্য অনুযায়ী, ভারতের হামলায় ৩১ জন নিহত ও ৫৭ জন আহত হন।

অন্যদিকে ভারতের সেনাবাহিনীর তথ্য অনুসারে, হামলার পর থেকে সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণে ১৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন। গোলার আঘাতে ভারতীয় এক সেনাও নিহত হয়েছেন বলে দ্য হিন্দু জানিয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads