সাক্ষাৎকার

মোবাইলে তল্লাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন এবং সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জহিরুল ইসলাম (জেড আই) খান পান্না বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কোনো অধিকার নেই সাধারণ মানুষের মোবাইল চেক করার। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ব্যক্তিগত তথ্য অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ যা করছে, তা মোটেই আইনসম্মত নয়। গতকাল শনিবার সমকালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন এবং সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জহিরুল ইসলাম (জেড আই) খান পান্না বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কোনো অধিকার নেই সাধারণ মানুষের মোবাইল চেক করার। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ব্যক্তিগত তথ্য অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ যা করছে, তা মোটেই আইনসম্মত নয়। গতকাল শনিবার সমকালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

জেড আই খান পান্না : কোটা সংস্কার নিয়ে প্রথমে ছাত্রদের আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। সেটাকে বিনষ্ট করার জন্য সরকার ও কতিপয় দুষ্কৃতকারী সংঘাত সৃষ্টি করে জনমনে গভীর আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। লক্ষ্য করেছি, শিক্ষার্থীরা সুনির্দিষ্ট একটি ধারায় আন্দোলন করে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে একটা রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক বললেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দমন করার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট। যে ছাত্রলীগ স্বাধীনতা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, সেই ছাত্রলীগকে আন্দোলন দমন করার জন্য লেলিয়ে দেওয়া খুবই অন্যায়। এর পরিণতিতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আমরা কেউই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছি না। এখন বলতে হয়, সহিংস ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ যা করছে, তা মোটেই আইনসম্মত নয়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এভাবে গভীর রাতে দরজায় নক করা হতো। কখনও কখনও দরজা ভেঙে হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে সময় পাকিস্তানি সেনারা আমাদের দেশীয় রাজাকারদের সহায়তায় কাজগুলো করেছিল। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর আমরা সেটা আবার দেখছি। কিন্তু এখন যারা এ কর্মকাণ্ড করছে, তারা জন্মগতভাবে বাংলাদেশের শাসকদের লাঠিয়াল বাহিনী। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড বাহাত্তরের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিরোধী।

আরও পড়ুন