ঢাকায় প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের লঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ সংক্রান্ত গ্রাফিতি বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে এনসিটিবি ঘেরাও কর্মসূচিতে আগেরদিন আদিবাসীদের ওপর হামলা হয়, প্রতিবাদে এসে বৃহস্পতিবার পুলিশের লাঠিপেটা খেলেন বিক্ষোভকারীরা।

‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা এদিন দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।

আন্দোলকারীরা বলেছেন, তাদের মধ্যে অন্তত তিন থেকে চার জন আহত হয়েছেন পুলিশের আঘাতে।

সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেও পরবর্তীতে সচিবালয় ঘেরাও করার জন্য অগ্রসর হন।

শিক্ষা ভবনের সামনে তারা পুলিশের বাধায় পড়েলে ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় পুলিশ তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে।

পরবর্তীতে সেখানে সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারের পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করা হয়।

পুলিশের রমনা জোনের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, তারা শুরুতে আন্দোলনকারীদেরকে অনুরোধ করেছিলেন যেন তারা সামনের দিকে না এগোন।

“অনুরোধ করার পরও তাদের প্রথমেই টার্গেট হলো আমাদের ব্যারিকেড। আমরা এত সুন্দর করে ব্যারিকেড দিছি, তালা পর্যন্ত দিছি যাতে ওদের সাথে হাত দেওয়া না লাগে, ওইটাও ভেঙে ফেলছে,” অভিযোগ করেন আলম।

“যখনই ভেঙে ফেলছে, তখন আমরা জলকামান ব্যবহার করছি, যাতে না যেতে পারে। তাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য হালকা হাওয়া দিছি। সাউন্ড গ্রেনেড দেওয়া হইছে, যাতে ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যায়।”

তিনি দাবি করেন, কাউকে আঘাত করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না।

অবশ্য আন্দোলকারীরা বলেছেন, পুলিশ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল; তারা এগোতে চাইলে তাদেরকে কেউ কেউ বকাবকি করেছেন, পরে কিছু বুঝে ওঠার আগেই জলকামান, লাঠিপেটা শুরু করে।  

পুলিশের হামলায় অন্তত তিন থেকে চার জন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন বলেও তাদের ভাষ্য।

আরও পড়ুন