কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে সারারাত অপেক্ষার পর ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেত্রী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে।
শুক্রবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে শহরের দেওভোগ এলাকার নিজের বাসা ‘চুনকা কুটির’ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচটি মামলার অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইভীকে গ্রেপ্তারে তার বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে পুলিশ। তবে আইভীর সমর্থকেরা বাড়িটির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভের কারণে অভিযান ব্যাহত হয়। বিভিন্ন পয়েন্টে বাঁশ দিয়ে অবরোধও করেন তারা।
সারা রাতই আইভীর বাড়ির সামনে নারী-পুরুষ–শিশুদের অবস্থান করতে দেখা যায়। এ সময় যেকোনো মূল্যে আইভীকে গ্রেপ্তারের অভিযান প্রতিহত করারও ঘোষণা দেন তারা।

আশপাশের এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে আইভীর বাড়ির সামনে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানাতেও শোনা যায়। দেওভোগ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আইভীর সমর্থকরা এসে তার বাড়ি ঘিরে রাতভর সেখানেই অপেক্ষায় থাকেন তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিনসহ অন্তত ৫০ জন পুলিশ সদস্য আইভীর দেওভোগের নতুন বাড়িতে অভিযানে অংশ নেয়।
এসময় বাড়ির ভেতর থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এই নেত্রী বলেন, “তাদের বলবা আমি দিনের বেলা ছাড়া যাবো না। আমাকে নিতে হলে দিনের বেলা নিতে হবে।”