ইন্দোনেশিয়ায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানীর বাইরে

বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। ছবি: সোশাল মিডিয়া থেকে নেওয়া।
বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। ছবি: সোশাল মিডিয়া থেকে নেওয়া।

ইন্দোনেশিয়ায় সরকারি ব্যয়কে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ দমনে মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর বানদুংয়ের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব বানদুং (ইউএনআইএসবিএ) এবং পাশের পাসুন্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি এলাকায় বিক্ষোভকারীদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে পাসুন্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যোগা তাদিয়ালাগা রুচিয়াত বলেন, শিক্ষাঙ্গন নিরপেক্ষ ও নিরাপদ স্থান হওয়ার কথা ছিল।

ইউএনআইএসবিএ শিক্ষার্থী পরিষদের অভিযোগ, নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিবাদ দমন করতে ক্যাম্পাসে ‘নৃশংসভাবে’ হামলা চালিয়েছে। দেশটির আইনপ্রণেতাদের বাড়তি আর্থিক সুবিধা দেওয়াসহ একাধিক সরকারি ব্যয় নিয়ে জনঅসন্তুষ্টি থেকে বিক্ষোভের সূত্রপাত।

প্রথমে রাজধানী জাকার্তায় শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে এর রেশ পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। 

পুলিশের ভ্যানের চাপায় এক ট্যাক্সিচালকের মৃত্যুর ঘটনায় চলমান বিক্ষোভ আরও বেগবান হয়ে ওঠে। এরপর রাজধানীতে চলা ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটে কয়েক লাখ মার্কিন ডলার সমমূল্যের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সরকারের ভাষ্য।

গত এক সপ্তাহে বিক্ষোভকে ঘিরে অন্তত আটজনের প্রাণহানি হয়েছে।

মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় পুলিশের কর্মকর্তা হেন্দ্রা রোচমাওয়ান জানান, নিরাপত্তা বাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করে সেখানে আশ্রয় নেওয়া বহিরাগতদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো।  

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট প্রাবোওর এক বছর পূরণ হওয়ার আগেই এই বিক্ষোভ তার নেতৃত্বের প্রতি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিরাপত্তা বাহিনীর আচরণের নিন্দা জানিয়েছে। 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছে। তারা বিক্ষোভকে রাষ্ট্রদ্রোহ বা সন্ত্রাসবাদ হিসেবে বিবেচনা করছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের তরফ থেকেও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়।

আরও পড়ুন