‘রাষ্ট্রবিরোধী’ কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পাঞ্জাব প্রাদেশিক আইনসভায় বিধানসভায় পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) নিষিদ্ধ করার জন্য একটি প্রস্তাবে সায় দিয়েছে পঞ্জাবের প্রাদেশিক আইনসভা।
দেশটির প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লে. জেনারেল আহমেদ শরীফ ‘সেনাবিরোধী’ বক্তব্য তৈরি এবং ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ইমরানের তীব্র সমালোচনা করার কয়েকদিন পর ৯ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের আইনসভায় প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
পিটিআই ও ইমরানকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দলটি ‘শত্রু রাষ্ট্রের হাতিয়ার’ হিসেবে কাজ করেছে এবং বিশৃঙ্খলা উসকে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
এতে বলা আরও হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান পাকিস্তানকে প্রতিটি ফ্রন্টে রক্ষা করে এবং ভারতের মতো পাঁচগুণ বড় শত্রুকে সফলভাবে মোকাবিলা করেছে, তারা দেশের অখণ্ডতা ও স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শত্রু রাষ্ট্রের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করার জন্য রাজনৈতিক দল এবং এর প্রতিষ্ঠাতার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। তার বিরুদ্ধে দেশের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়া এবং বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর অভিযোগও রয়েছে।
আরও দাবি করা হয়, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক গোষ্ঠীর যে কোনো নেতার বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হোক এবং তাদের যথাযথ শাস্তি দেয়া হোক।
পাঞ্জাবের তথ্যমন্ত্রী আজমা বোখারি বলেছেন, পিটিআই দলটি যদি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন না করে, তবে সরকার তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বা গভর্নরের শাসন জারির মতো পদক্ষেপ বিবেচনা করতে পারে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে পাকিস্তানের তৎকালীন ফেডারেল সরকার পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ইমরান খান, সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এবং জাতীয় পরিষদের (এনএ) সাবেক ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির বিরুদ্ধে ধারা ৬ এর অধীনে মামলা দায়েরের আবেদন করে।
এ সম্পর্কিত আরও খবর :



