গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, মাথায় হেলমেট পরে আদালতে নুসরাত ফারিয়া। না, এটি কোনো নাটক-সিনেমার দৃশ্য ছিল না। বাস্তবেই এভাবে আদালতে হাজির করা হলো এই অভিনেত্রীকে।
আওয়ামী লীগ সরকার হটানোর অভ্যুত্থানের সময়কার হত্যাচেষ্টার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়েছিল নুসরাত ফারিয়াকে।
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্র চিত্রায়ণে থাকা নুসরাতকে আদালতে হাজির করার পর ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ কথাটি তাকে শুনতে হয় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে।
৩০ মিনিট কাল এজলাসে দাঁড়িয়ে ছিলেন নুসরাত; বিমর্ষ মুখে, চ্ছলচ্ছল চোখে। শেষ দিকে চোখের জল আর বাঁধ মানেনি, ঝরেছে অঝোরে।
আওয়ামী লীগ আমলের মন্ত্রী-এমপিদের মতো রিমান্ডে যেতে হয়নি নুসরাতকে। কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এখন তিনি আছেন গাজীপুরের সুরক্ষিত কাশিমপুর কারাগারে।
নুসরাতকে গ্রেপ্তারের একদিন পর যখন আদালত ও কারাগার পর্ব চলল, তখন সোশাল মিডিয়ায় চলছিল ঝড়। সেই ঝড়ের গতি মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দিকেই।
সরকারের সমালোচকরা যেমন এই অভিনেত্রীকে গ্রেপ্তার নিয়ে সরব ছিলেন। প্রতিবাদ জানােলন জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সরব অভিনয়শিল্পীরাও। আবার নুসরাতকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে সরকার অন্য কোনো ঘটনা আড়াল করতে চাইছে বলেও সন্দেহ উঠেছে।
সমালোচনার মুখে ভিন্ন সুর বেজেছে উপদেষ্টাদের কারও কারও মধ্যে। আত্মপক্ষ সমর্থনে নানা যুক্তি দিচ্ছেন তারা।

২০১৫ সালে সিনেমায় অভিষিক্ত নুসরাত ফারিয়া বিজ্ঞাপনচিত্র, উপস্থাপনাসহ নানা কারণেই রুপালি জগতের চেনা মুখ। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক বানানোর সময় খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাকেই নিয়েছিলেন। ওই সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিবের ভূমিকায় ছিলেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, যার স্বামী মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অভ্যুত্থানের পর গঠিত বর্তমান সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা।
যে কারণে গ্রেপ্তার
থাইল্যান্ড যাওয়ার পথে রোববার বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয় নুসরাত ফারিয়াকে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিবি অফিসে। পরে জানানো হয়, গত বছর জুলাইয়ে ভাটারা থানায় করা একটি হত্যাচেষ্টার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল। রক্তাক্ত অধ্যায় পেরিয়ে আগস্টে তা অভ্যুত্থানে রূপ নেয়, তাতে পতন ঘটে শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনের।
জুলাইয়ে যেসব হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ঘটেছিল, সেগুলো নিয়ে পরে একের পর এক মামলা হতে থাকে। বেশিরভাগ মামলায় আসামির করা হয় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তার বিরুদ্ধে মামলা এরই মধ্যে দুইশ ছাড়িয়েছে।
এরমধ্যে গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলায় জুলাই
হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে এ বছরের ২৯ শে এপ্রিল এ মামলাটি করেন এনামুল হক নামের একজন ব্যক্তি। তিনি অভিযোগ করেন, গত বছরের জুলাইয়ে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সময় তাকে গুলি করা হয়েছিল। তার ডান পায়ে গুলি লেগেছিল।
এই মামলায় অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা, রোকেয়া প্রাচী, অভিনেতা আজিজুল হাকিম, চিত্রনায়ক জায়েদ খান, চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার, অপু বিশ্বাসের সঙ্গে নুসরাতকেও আসামি করা হয়।
বাদী এনামুলের অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য আসামিরা বিপুল অর্থ জোগান দিয়েছিল আওয়ামী লীগকে।
নূসরাত ফারিয়াকে আওয়ামী লীগের অন্যতম অর্থ জোগানদাতা হিসেবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি বাদী বলেন, ২০২৪ সালের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হতেও তৎপরতা চালিয়েছিলণ এই অভিনেত্রী।
তখন নুসরাত ফারিয়া ছিলেন কোথায়?
যে সময়কার ঘটনা নিয়ে এই মামলাটি হয়েছে, তখন নুসরাত ফারিয়া দেশেই ছিলেন না বলে আদালতে জানান তার আইনজীবী। বিমর্ষ মুখে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা নুসরাত অবশ্য কোনো কথাই বলেননি।
নুসরাত ফারিয়ার ফেইসবুক পেইজ বিশ্লেষণ করে প্রথম আলো দেখতে পেয়েছে, গত বছরের জুলাইয়ে দেশে আন্দোলন যখন দানা বেঁধে ওঠেনি, তখন এই অভিনেত্রী দেশেই ছিলেন। তবে ১২ জুলাই তিনি কানাডা যান।
পরবর্তীকালে কানাডার ক্যালিগরি শহরের বেশ কিছু আয়োজনে অংশ নেন নুসরাত ফারিয়া। সেসব ছবি ফেইসবুকেও দেন তিনি। তার সঙ্গে একই মামলার আসামি জায়েদ খানও তখন কানাডায় ছিলেন।
আন্দোলনের সময় সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দিলে ১৯ জুলাই নুসরাত ফারিয়া কানাডা থেকে ফেইসবুকে লিখেছিলেন, “দুই দিন হয়ে গেল, বাংলাদেশে ইন্টারনেট নেই। দেশটি বিশ্বের অন্যান্য অংশ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন। আমরা কি সত্যিই আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করতে পারি না?”
এরপর ২৩ জুলাই আবার লিখেছিলেন, “ছয় দিন হয়ে গেল, আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলিনি। আপনারা সবাই জানেন, আমার বাবার অবস্থা তেমন ভালো না। কিন্তু আমি আমার সহকর্মী ছাত্র ভাই এবং বোনের জন্য অনুভব করি। সবার সুস্থতা ও দেশের শান্তি কামনা করছি।”
এখন গায়ে আওয়ামী লীগের দোসর তকমা লাগলেও তখন কানাডায়ে বসেই আন্দোলনের পক্ষে কয়েকটি ফেইসবুক পোস্ট দিয়েছিলেন নুসরাত ফারিয়া।
১৭ জুলাই এক পোস্টে লিখেছিলেন, “কাজের কারণে আমি হাজার মাইল দূরে। কিন্তু আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, আমি কেমন অনুভব করছি, তা প্রকাশ করতে পারছি না। সর্বোপরি আমরা মানুষ, এই সত্যটি ভুলতে পারি না। দোয়া করি সবাই নিরাপদে থাকুন।”
১৮ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়েবানা জানাজার ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, “জাতি হিসেবে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু নেই।”
৩ আগস্ট বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ছবিও পোস্ট করেন নুসরাত। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি সংসদ ভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার একটি ছবি পোস্ট করে বাংলাদেশের ইমো যোগ করেন।
তারপর আন্দোলন নিয়ে আর কোনো কিছু লেখেননি নুসরাত। সেপ্টেম্বরে বন্যা নিয়ে কিছুটা সরব হওয়ার পর নিজের গণ্ডিতে ফিরে যান।
শিল্পীদের প্রতিবাদ
শুধু একটি মামলায় আসামি করায় নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এমনটা মানতে নারাজ শিল্পী সমাজ। তাদের সন্দেহ, বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে শেখ হাসিনার চরিত্র রূপায়ণই এই গ্রেপ্তারের কারণ।
তাকে আদালতে নেওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, “তিনি শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। অভিনয় করা কোনো দোষের কিছু নয়। কিন্তু তিনি পরবর্তীতে বলেছিলেন, প্রতিটা ঘরে ঘরে শেখ হাসিনা রয়েছে। এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে খুশি করতে চেয়েছিলেন।”
যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অভিনেতা-নির্দেশক মামুনুর রশীদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, তিনি দেশ না ছাড়লে হয়ত তাকেও নুসরাতের মতো ভাগ্য মেনে নিতে হত, কারণ তার বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, “এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা যারা অভিনয় করে খাই, মঞ্চ নাটক করি, মাঝে মাঝে সত্য উচ্চারণ করি- সেই অপরাধে আমাদের এমনভাবে মামলা দিয়ে হেনস্থা করতে হবে? এটা কোন বিবেচনা? অথচ সরকার বলেছিল, যা খুশি বলুন। গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হচ্ছে প্রতিদিন।”
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সম্প্রতি একাধিকবার বলেছিলেন যে অনেক হয়রানিমূলক, বিদ্বেষমূলক মামলা হচ্ছে।

পরিচালক শিহাব শাহীন ফেইসবুকে লিখেছেন “অবিশ্বাস্য আর আজগুবি অভিযোগে নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার হয়রানিমূলক!”
জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন ফেইসবুকে লিখেছেন, “এই মেয়েটির কোনো দোষ নেই। সে মোটেই দায়ী নয়। যারা ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে, তাদের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
“বর্তমান পরিস্থিতি এবং ব্যবস্থা নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এমন দেশে বাস করি না, যেখানে ন্যায়বিচার সাধারণভাবে প্রচলিত। তবে এবারের ঘটনাটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
জুলাই আন্দোলনের সময় প্রতিবাদে সরব পরিচালক আশফাক নিপুণ ফেইসবুকে লিখেছেন, “এভাবেই দিনে দিনে প্রকৃত খুনি ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা দুর্বল করতে অন্যদের সফট টার্গেট করা হয়ে আসছিল এবং করা হচ্ছে। এটাকে আর যাই হোক, সংস্কার বলে না সরকার।
“হত্যাচেষ্টার যে মামলা করা হলো এবং যে হত্যার সময় তিনি দেশেই ছিলেন না, সেই অভিনেতা নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার এবং কারাগারে প্রেরণ দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই ইঙ্গিতই দেয়। আমরা জুলাই গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার চাইছিলাম। কোনো রকম প্রহসন চাই নাই, এখনো চাই না।”
ভিন্ন সন্দেহ
রুপালি জগতের তারকারা প্রচারের আলোয় থাকেন বলে কণ্ঠশিল্পী মমতাজের পর অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারের পেছনে মনোযোগ ভিন্ন দিকে ঘোরানোর চেষ্টা রয়েছে বলে অনেকের সন্দেহ।
প্রবাসী সাংবাদিক-কলামিস্ট মারুফ মল্লিক ফেইসবুকে লিখেছেন, “আবদুল হামিদকে (সাবেক রাষ্ট্রপতি) বিদেশে পালানোর সুযোগ দিয়ে নুসরাত ফারিয়া, মমতাজকে আটক করলেই সরকারের ম্যান্ডেট প্রমাণিত হয় না। বরং সরকারের বিশ্বাসঘাতক চরিত্রই প্রকাশিত হয়।”
জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহও সন্দেহ পোষণ করছেন।
তিনি ফেইসবুকে লিখেছেন, “৬২৬ জনকে নিরাপদে বের করে দিয়ে এখন নুসরাত ফারিয়াকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে বোঝাতে চাচ্ছেন আপনারা খুব বিচার করছেন? এগুলো বিচার নয়, এগুলো হাসিনা স্টাইলে মনোযোগ ডাইভারশন।”
জাতীয় নাগরিক পার্টিও এক বিবৃতিতে বলেছে, জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় না এনে এ ধরনের লোকদেখানো ও ঢালাওভাবে আসামি করা মামলায় গ্রেপ্তার ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা বিচার প্রক্রিয়াকে লঘু করে দেখানোর প্রবণতা সৃষ্টি করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো ও প্রশাসনের মধ্যে থাকা একটি পক্ষ এ ধরনের অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ‘জুলাই গণহত্যা’ এবং এর বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।”
মানবাধিকার সংগঠক নূর খান লিটন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিবিসি বাংলাকে বলেন, “তাকে কাজের জন্য খেসারত দিতে হবে, এটা মানা যায় না। তাকে এক ধরনের শাস্তি দেয়া হচ্ছে।”
সরকারের প্রতিক্রিয়া
নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তারের পর অনেকে সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে তিশাকে গ্রেপ্তার করা হলো না কেন? তিশাকে ধরে তার স্বামী সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীর সমালোচনাও চলছে।
এই প্রেক্ষাপটে ফারুকী এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, “নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা তো অনেকদিন ধরেই ছিলো। সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে গ্রেপ্তারের কোনো উদ্যোগ নেয়ার বিষয় আমার নজরে আসেনি। কিন্তু এয়ারপোর্টে যাওয়ার পরেই এই ঘটনাটা ঘটে।
“আওয়ামী লীগের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের পর ওভার নারভাসনেস থেকেই হয়তোবা এইসব ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কয়দিন আগে ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থের স্ত্রীর সঙ্গেও এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে।”
এসব ঘটনা সমর্থনযোগ্য নয় মন্তব্য করে ফারুকী আশা প্রকাশ করেন, নুসরাত ফারিয়া আইনি প্রতিকার পাবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “এখন তার নামে যদি কেস থাকে, আপনি কী করবেন?
“ছেড়ে দিলে আবার আপনি কিন্তু বলবেন- স্যার আপনি ছেড়ে দিছেন…।”