রেমিটেন্স প্রবাহে ধীরগতি নামিয়ে দিয়েছে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ, যা ফের নেমে এসেছে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার রেমিটেন্সের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, নতুন বছরে জানুয়ারির প্রথম ২৫ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬৭ কোটি ৫৯ লাখ (১.৬৭ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১২২ টাকা) অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা।
এ হিসেবে প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার; টাকার অঙ্কে যা ৮১৭ কোটি।
এক মাস আগে প্রথম ২১ দিনে এসেছিল ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি ৭২ লাখ) ডলার, প্রতিদিন গড়ে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার; টাকার অঙ্কে ছিল ১ হাজার ১৪৭ কোটি।
ডিসেম্বর মাসে মোট রেমিটেন্স আসে ২৬৪ কোটি (২.৬৪ বিলিয়ন) ডলার, যা ছিল একক মাসের হিসাবে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। এর আগে এক মাসে এত রেমিটেন্স কখনও আসেনি।
জানুয়ারির ২৫ দিনে যে রেমিটেন্স এসেছে, মাসের বাকি ৬ দিনে (২৬ থেকে ৩১ জানুয়ারি) এই হারে এলে মাস শেষে রেমিটেন্সের অঙ্ক দাঁড়াবে ২০৭ কোটি ৮১ লাখ (২.০৭ বিলিয়ন) ডলার, যা হবে ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়নের নিচে
প্রবাসীদের রেমিটেন্সের প্রবাহ ধীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রিজার্ভও ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।
রোজার মাস সামনে রেখে পণ্য আমদানিতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় রিজার্ভ কমছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
গত বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার; গ্রস হিসাবে ছিল ২৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্যসহ বিশ্ববাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যায়। আমদানি খরচ দুই থেকে আড়াই গুণ বেড়ে যায়। এর পর থেকে কমতে থাকে রিজার্ভ।