নারী ফুটবলে সঙ্কট নিয়ে প্রতিবেদন দিল কমিটি

Women Football Team

বল এখন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের কোর্টে। তবে বিস্ময়করভাবে নারী ফুটবলের চলমান সঙ্কট নিরসনে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার দিনে কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না তিনি! জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার জেমস বাটলার ও বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলারের সমস‍্যা নিরাসনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাকেই।

নির্ধারিত দিনেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ইমরুল হাসানের নেতৃত্বাধীন কমিটি। বৃহস্পতিবার তিনি এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু না বলায় আপাতত সুষ্ঠু সমাধানের জন‍্য অপেক্ষা আরও কিছুটা বাড়ল।

তিন পৃষ্ঠার একটি লিখিত বিবৃত পাঠ করে কিছু দিন আগে বাটলারের অধীনে অনুশীলন না করার ঘোষণা দেন ১৮ ফুটবলার। এ সময় বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগও আনেন।

পরিস্থিতি সামাল দিতে এরপর সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে বাফুফে। গত ছয় দিন খেলোয়াড়, কোচের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলেছে কমিটি। সব পক্ষের মত, অভিযোগ, অনুযোগ শোনার পর অচলাবস্থা কাটাতে প্রতিবেদনে নিজেদের মতামত দেওয়ার কথা বললেন ইমরুল।

“আপনারা জানেন যে, নারী ফুটবলে একটা অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। সেটা নিরসনে সভাপতি সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। আমরা গত শনিবার থেকে কাজ করেছি। সংশ্লিষ্ট পক্ষের মতামত শুনেছি, তাদের বক্তব্য নিয়েছি। এই বক্তব্যের আলোকে আমরা কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। কিছু কারণ খুঁজে পেয়েছি। সেগুলোর প্রতিকারের জন্য কী কী করণীয়, সেগুলো উল্লেখ করে আমরা প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।”

তাবিথের অনুপস্থিতিতে তার দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন ইমরুল। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত কী হবে, কবে হবে, এসব প্রশ্নের উত্তরে তিনি বল ঠেলে দিয়েছেন সভাপতির কোর্টে।

“সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শৃঙ্খলা, সেখানে (তদন্ত প্রতিবেদনে) সাফল্য-ব্যর্থতা মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে বলে আমার অন্তত মনে হয় না।”

“এখানে কমিটিতে যারা ছিলেন, তারা সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে এখানে এসেছেন। আমরা মনে করি, মেয়েদের বিষয়গুলো নিয়ে আবেগ যেমন ছিল, সাফল্য যেমন ছিল, তেমনি শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, আমরা সব দিক বিবেচনা করে প্রতিবেদন তৈরি করেছি। নিজেদের দায়িত্বের প্রতি নির্মোহ ছিলাম আমরা।”

আরও পড়ুন