‘রিকশা গার্ল’ মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে

rickshaw girl

জীবনের চাকা সচল রাখতে তরুণীকে বেছে নিতে হয় প্যাডেল ঘোরানোর পেশা। যান্ত্রিকতা আর স্বার্থপরতার ভিড়ে হোঁচট খেয়ে মুখোমুখি নিগূঢ় বাস্তবতার। থেমে থাকা তো যাবে না, থেমে গেলে থেমে যাবে জীবনযন্ত্র! এমনসব টুকরো টুকরো জীবনচ্ছবি নিয়ে চলচ্চিত্র ‘রিকশা গার্ল’।

যে সিনেমাটির আলোর মুখ দেখার কথা ছিল ২০২০ সালে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শুটিং ও তার পরবর্তী সব কাজ শেষও হয়েছিল।

কিন্তু কোভিড মহামারির থাবায় মুক্তির দিশা মেলেনি। এরপর বারকয়েক মুক্তির কথা শোনা গেলেও আলোর মুখ দেখতে সময় লেগে গেছে আরও কয়েকটা বছর।

তখন পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেন বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি দেখানো হবে।
এরপর বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে এবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘রিকশা গার্ল’। এই সিনেমাটি নিয়ে দীর্ঘ নয় বছর পর বড় পর্দায় ফিরছেন অমিতাভ রেজা।

অমিতাভ রেজা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে দেশের সিনেমা হলগুলোতে দর্শকরা ‘রিকশা গার্ল’ এর খোঁজ পাবেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের লেখক মিতালি পারকিনসের কিশোরসাহিত্য ‘রিকশা গার্ল’ অবলম্বনে সিনেমাটি তৈরি হয়েছে। এর চিত্রনাট্য করেছেন নাফিজ আমিন ও শর্বরী জোহরা আহমেদ।

‘রিকশা গার্ল’ সিনেমার গল্প তৈরি হয়েছে শিল্পীমনা নারী নাঈমাকে ঘিরে, যিনি ছবি আঁকতে পছন্দ করেন। তাদের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ তার বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্রোতের প্রতিকূলে লড়াই শুরু হয় নাঈমার।

যেহেতু ছবি এঁকে যথেষ্ঠ উপার্জন হয় না, তাই নাঈমা উপায়ন্তর না দেখে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে পড়েন। জটিল হতে থাকে সিনেমার গল্প।

চলচ্চিত্রে রিকশা গার্লের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নভেরা রহমান। রয়েছেন চম্পা, মোমেনা চৌধুরী, নরেশ ভূঁইয়া, অ্যালেন শুভ্রসহ অনেকে।

সিনেমায় বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি বানানো হয়েছে। সিনেমার ডিজিটাল পার্টনার হিসেবে থাকছে ওটিটি প্লাটফর্ম ‘বঙ্গ’।

‘আয়নাবাজি’ দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন অমিতাভ রেজা। ‘রিকশা গার্ল’ নিয়ে দর্শকদের কাছে তার কেমন প্রত্যাশা- এমন প্রশ্নে নির্মাতা বলেন, “এই সিনেমা আগের মত সফল না হলেও আমার কোনো আপত্তি নেই। সুপারহিট বা জনপ্রিয় হতে হবে আমি সেভাবে দেখি না। সিনেমা বানিয়েছি। দর্শক দেখুক, ভালোমন্দ বলুক।

“আমাদের সিনেমায় দর্শক তৈরি হওয়া জরুরি, তা আমার সিনেমা দিয়ে যদি কিছুটা হয়, তাহলেই আমি খুশি।“

আরও পড়ুন