জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাদের পোস্টে ৩১ ডিসেম্বর নিয়ে শোর

জুলাই অভ্যুত্থানের পরের দৃশ্য।
জুলাই অভ্যুত্থানের পরের দৃশ্য।

কোনো একটি দিন নিয়ে মাঝে-মধ্যেই ফেইসবুকে দেখা যায় শোরগোল। এই যেমন হয়েছিল তিন মাস আগে ২৬ সেপ্টেম্বর নিয়ে। কী হতে যাচ্ছে ২৬ সেপ্টেম্বর তা নিয়ে অনেক কৌতূহলী মনই সোশাল মিডিয়া চষে বেড়িয়েছে, খুঁজেছে গুগলেও।

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এনিয়ে নানা গুঞ্জনও ছড়াচ্ছিল। তবে শেষে জানা যায়, টেলিগ্রাম অ্যাপের গেমিং বটের প্রচার রয়েছে এর নেপথ্যে।

এবার ৩১ ডিসেম্বর নিয়েও নতুন করে কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন সবাই। এই কৌতূহল তৈরি করেছে অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের এই দিনটি ধরে একের পর এক পোস্টে।

শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে ফেইসবুকে এই ধরনের পোস্ট দিতে থাকেন তারা, এগুলো ছড়িয়ে পড়ে ওয়ালে ওয়ালে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন- “Comrades, 31st DECEMBER! Now or Never.”

আরেক সমন্বয়ক রিফাত রশিদ তার লিখেছেন- “All eyes on 31st December, 2024. Now or Never!”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হওয়া আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও তার ফেইসবুক আইডিতে লিখেছেন- “Comrades Now or Never.”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন লিখেছেন, “এ বছরই হবে। ৩১ ডিসেম্বর। ইন শা আল্লাহ।“

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্য সদস্যরাও ৩১ ডিসেম্বর নিয়ে পোস্ট লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

৩১ ডিসেম্বর খ্রিস্টীয় বছরের শেষ দিন, তা উদযাপিত হয় সারাবিশ্বে। কিন্তু তাদের পোস্ট যে বর্ষবিদায় নিয়ে নয়, তা অনেকটাই স্পষ্ট।

সবার কৌতূহল জন্য বেড়ে উঠছিল, তখন আসিফ মাহমুদ ও হাসনাত আব্দুল্লাহর নতুন পোস্টে বিষয়টি অনেকট পরিষ্কার হয়। তারা দুজনই লেখেন যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে সেদিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

সমন্বয়কদের উদ্ধৃত করে ঢাকার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মতো ৩১ ডিসেম্বর জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠ করার কর্মসূচি নিয়েছেন তারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, “শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আমল থেকে বের হয়ে দেশ কেন জুলাই বিপ্লবের রূপ নিল, কীভাবে নিল, ৯ দফা থেকে ১ দফায় আমাদের কেন আসতে হলো, ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা কীরূপ ছিল- এসব বিষয় নিয়ে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র পাঠ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।”

আরও পড়ুন