বঙ্গবন্ধু পরিবারকে ভয় এবং তাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে নিজেদের বিরুদ্ধে একের পর এক রায় দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
প্লট দুর্নীতির মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “এই রায়ের লক্ষ্য আমার পরিবারের সদস্যদের নির্বাচনে দাঁড়াতে বাধা দেওয়া। এই অবৈধ সরকার বঙ্গবন্ধু পরিবারকে এতটাই ভয় পাচ্ছে!”
বৃহস্পতিবার তিনটি মামলার রায়ে শেখ হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছর করে মোট ২১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে একটি মামলায় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে আরেক মামলায় পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডের পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে এক লাখ টাকা করে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে ৬ মাস করে ১৮ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পুতুল ও জয়কে দণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ওই রায়ের কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “আমার পরিবার এবং আমি প্রত্যেকে ঢাকার উপকণ্ঠে একটি অনুন্নত এলাকায় এক-ষষ্ঠমাংশ একর (১/৬ একর) জমি ৩০ লাখ টাকা করে কিনেছি। আমরা এই জমি ব্যক্তিগত অর্থে কিনেছিলাম। পরিবারের কারোরই বাংলাদেশে এর আগে কখনও সম্পত্তি কেনা হয়নি। আমাদের যা সম্পত্তি সবই উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া।”
বিচার প্রক্রিয়ার মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “অবৈধ ইউনূস সরকারের অধীনের ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ আরও একটি দ্রুত বিচার ও রায় দিয়েছে। আমাদের সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করা হয়নি, আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং কোনো প্রকার আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।”
রায়ের মাধ্যমে তাদের পরিবারের সদস্যদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন সজীব ওয়াজেদ জয়, যিনি তার মায়ের শাসনামলে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বলেন, “এই অবৈধ সরকার বঙ্গবন্ধু পরিবারকে এতটাই ভয় পাচ্ছে!”
শেখ হাসিনা পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে প্লট দুর্নীতির তিন মামলার রায়ে সব অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব থেকে অবিলম্বে অপসারণের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।



