শনিবারের পত্রিকা : ‘তৃণমূল শক্ত না হলে জোট’

newspaper

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে শনিবার উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিবস ঘিরে নারীদের সমস্যা-সংকট তুলে ধরে শনিবার প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করেছে বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র। এর পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) তৎপরতা, সরকারের প্রস্তুতি, সংকটে থাকা ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের প্রকাশ্যে মিছিল করাসহ বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে সংবাদপত্রগুলোর প্রধান প্রতিবেদনে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক শনিবার কোন সংবাদপত্রের কী শিরোনাম এসেছে।

দেশ রূপান্তর

আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) তৎপরতার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তরও। ‘তৃণমূল শক্ত না হলে জোট’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে দ্রুত সময়ের মধ্যে দল গুছিয়ে জনসমর্থন বৃদ্ধি ও ভোট বাড়াতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে দলটি গণপরিষদ নির্বাচনের দিকেই জোর দিতে চাচ্ছে। এরই মধ্যে দলটি নির্বাচনে এককভাবে নাকি জোটবদ্ধ হয়ে অংশ নেবে তা নিয়েই বেশ আলোচনা চলছে। দেশের সর্ববৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে তৃতীয় দল হিসেবে নির্বাচনী মাঠে নামতে পারে এনসিপি। দলটির নেতারা মনে করেন ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে এনসিপির। তবে তৃণমূল শক্তিশালী না হলে বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোট করতে পারে দলটি। এ ক্ষেত্রে জামায়াতের সঙ্গে জোটের আগ্রহ নেই বেশিরভাগ নেতাকর্মীর। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি দলটি।

প্রথম আলো

পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে কড়াকড়ি বাড়লেও নারী পাচার থেমে নেই– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘সীমান্তে কড়াকড়ির মধ্যেও থেমে নেই নারী পাচার’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে নারী ও শিশুদের ভারতে পাচারের প্রবণতা থেমে নেই। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সীমান্তে কড়াকড়ি বেড়েছে। তবে পাচারকারীরা ফাঁকফোকর ঠিকই খুঁজে নিচ্ছে। মানব পাচার প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা সংগঠন জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার জানিয়েছে, গত বছরের আগস্ট থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে সীমান্ত দিয়ে পাচার হওয়া অন্তত ১০ নারী ও কিশোরীকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তাঁদের ভারতের হায়দরাবাদ, মহারাষ্ট্র ও বেঙ্গালুরুর যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার করে সে দেশের পুলিশ। পাচারের সময় অনেককে সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) হিসাবে, গত আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত অবৈধভাবে পাচারের সময় পাচারকারীসহ আটক ব্যক্তির সংখ্যা ১৪৫। এর মধ্যে নারী ও শিশু ৫৫ জন। একই সময়ে ভারত থেকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে ১৬২ জনকে। প্রত্যাবাসিত নারী ও শিশুর তথ্য আলাদা করা নেই। জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের কান্ট্রি ডিরেক্টর তারিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অপরাধী চক্র সব সময় অস্থিরতার সুযোগ নেয়; এখনো নিচ্ছে।

কালের কণ্ঠ

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘিরে নারীর সংকটকেন্দ্রীক খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘বাড়ছে নারীর নিরাপত্তাহীনতা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি অনেকটাই দৃশ্যমান। ছিনতাই, ডাকাতি, লুটপাট, হামলা ছাড়াও ঘটছে মব সহিংসতার মতো ঘটনা। এর নেতিবাচক প্রভাব দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর পড়লেও নারীদের নিরাপত্তাহীনতার বহুমাত্রিক চিত্র ফুটে উঠেছে গত কয়েক মাসের নানা ঘটনায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, নারীদের ওপর আক্রমণের বিষয়টি আগেও ছিল।

তবে বর্তমানে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের নাজুক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। সেই সঙ্গে একটি বিশেষ গোষ্ঠী নারীদের দমিয়ে রাখতে পুরুষতান্ত্রিক বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে বলেও মত দেন তাঁরা।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে আজ শনিবার পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন/নারী ও কন্যার উন্নয়ন।’

সমকাল

আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সরকারের প্রস্তুতির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘নির্বাচনী প্রশাসন সাজাতে এখনই সতর্ক সরকার’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রশাসন সাজাতে সতর্কে পা ফেলছে সরকার। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিকসহ বিভিন্ন তথ্য নিবিড়ভাবে যাচাই-বাছাই চলছে। বিশেষ করে সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) পদায়নের চূড়ান্ত তালিকা (ফিটলিস্ট) তৈরি করা হচ্ছে সময় নিয়ে। এ কারণে ডিসি পদায়নের চূড়ান্ত তালিকা তৈরির সাক্ষাৎকার দুই মাসেও শেষ হয়নি।

সরকার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার একটি বিতর্কহীন তালিকা তৈরি করা হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে ডিসি ও পুলিশ সুপার (এসপি) পদে প্রাধান্য পাবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা। ভোটের তপশিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ডিসি পদে রদবদল চাইলে এ তালিকা ধরেই করতে হবে। ডিসি-এসপির পাশাপাশি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) তালিকা তৈরিরও কাজ চলছে।  

ইত্তেফাক

নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের প্রকাশ্যে মিছিল করা এবং পুলিশের বাধায় মিছিল ছত্রভঙ্গ হওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘পুলিশের বাধায় হিযবুত তাহরীরের মিছিল ছত্রভঙ্গ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে ‘মার্চ ফর খিলাফা’ ব্যানারে মিছিল করেছে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের কর্মীরা। তারা মসজিদের উত্তর গেট থেকে মিছিল নিয়ে বিজয় নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় গিয়ে থেমে যায়। সেখানে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার সেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে নামাজের পর থেকে শুরু হয়ে হিযবুত কর্মীদের এ ধাওয়া-পালটা ধাওয়া, চলে সোয়া ২টা পর্যন্ত। এ সময় ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ ছিল।

এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ সংগঠন, তাদের কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অন্যদিকে উত্তরা পশ্চিম থানা সংলগ্ন এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে হিযবুত তাহরীরের তিন জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) ইউনিট। গতকাল তাদেরকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

যুগান্তর

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সরকার পতন হলেও তাদের দোসর হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তারা এখনও প্রশাসনে বহাল রয়েছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘ফ্যাসিস্টের দোসররা বহাল’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার দোসর হিসাবে চিহ্নিত শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে। তারা গত সাড়ে ১৫ বছর সরকারের নানা অপকর্মে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ করে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বেশ সক্রিয় ছিলেন তারা। কিন্তু ৫ আগস্টের পর রাতারাতি ভোল পালটে হয়ে গেছেন বিএনপি ও জামায়াতের অন্ধ সমর্থক। সংশ্লিষ্টদের ‘ম্যানেজ’ করে বাগিয়ে নিয়েছেন এসপি, ডিআইজি ও অতিরিক্ত আইজিপির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

অন্যদিকে মেধা, জ্যেষ্ঠতাসহ প্রয়োজনীয় সব যোগ্যতা থাকার পরও যেসব কর্মকর্তা বিগত সময়ে বঞ্চিত হয়েছেন, তারা এখনো বঞ্চিত। পদোন্নতি তো দূরের কথা, তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চরম হতাশা ও চাপা ক্ষোভ। বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন-২০১৪ সালে খোদ গোপালগঞ্জের মতো জেলায় যিনি এসপি হয়েছিলেন, তিনি এখন নৌপুলিশের ডিআইজি। এভাবে তারা একে একে শতাধিক কর্মকর্তার নাম তুলে ধরলেন। এসব কর্মকর্তার আরও অভিমত-যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, তারা এখন পুরস্কৃত। সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপে জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য চরমভাবে ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা আছে।

বণিক বার্তা

দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের চিত্র আগের মতোই গেছে– এমন খবরকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা।  ‘পুরনো আমলের মতোই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, সংস্থাটির পূর্বানুমোদন ছাড়া দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অ্যাডহক কিংবা দৈনিক মজুরিভিত্তিক জনবল নিয়োগের সুযোগ নেই। চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হলেও ইউজিসির নীতিমালা অনুযায়ী প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড বা সিন্ডিকেটের অনুমোদন নিতে হয়। এর পর ইউজিসির অনুমোদন সাপেক্ষে অন্তত দুটি জাতীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হয়। তবে এসব নির্দেশনা অমান্য করেই সম্প্রতি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দীর্ঘদিন ধরেই নিয়োগে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিগত সরকারের সময়কার মতো যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ ও পরে স্থায়ীকরণের অভিযোগ উঠছে এখনো।

গত ২৭ জানুয়ারি বিভিন্ন পদে নয়জনকে অস্থায়ী নিয়োগ দেয় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের মধ্যে সহকারী অধ্যাপক পদে দুজন, প্রভাষক পদে একজন, সহকারী রেজিস্ট্রার পদে চারজন, সেকশন অফিসার পদে একজন এবং সহকারী পরিচালক পদে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

নয়া দিগন্ত

নগদ টাকার সংকট মেটাতে সমস্যাকবলিত ব্যাংকগুলো হিমশিম খাচ্ছে– এমন খবরকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়াদিগন্ত। ‘সমস্যাকবলিত ব্যাংকগুলো নগদ টাকার সঙ্কটে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নগদ টাকার সঙ্কট মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে সমস্যাকবলিত ব্যাংকগুলো। রমজানে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে বাড়তি টাকার প্রয়োজন হচ্ছে মানুষের। এতে ব্যাংকগুলোতে টাকা উত্তোলনের হার বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে বেকায়দায় পড়েছে সমস্যাকবলিত ব্যাংকগুলো। এমনি পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো তারল্য সহায়তা পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করেছে।

অভিযোগ রয়েছে, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি লুটপাট হয়েছে দেশের ব্যাংকিং খাতে। বিশেষ করে এস আলম নামক এক ব্যাংক ডাকাতের মাধ্যমে দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকসহ আরো আটটি ব্যাংক থেকে পানির মতো করে টাকা বের করে নেয়া হয়েছে। এসব ব্যাংকগুলোর কোনো কোনোটি থেকে ৯০ শতাংশ টাকা সরিয়ে নেয়া হয়। যেমন ইউনিয়ন ব্যাংকের মোট আমানতের প্রায় ৯০ শতাংশ অর্থ বের করে নেয় এস আলম। ব্যাংকটির ২৫ হাজার কোটি টাকার আমানতের মধ্যে নামে ও বেনামে এস আলম বের করে নিয়েছে ২৩ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা। তেমনিভাবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নেয় ৪৫ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা। তবে একমাত্র ইসলামী ব্যাংক থেকে বের করে নেয় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক থেকে বের করে নেয় ১২ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে বের করে নিয়েছে ১৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। জনতা ব্যাংক থেকে বের করে নিয়েছে ১২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ২ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক থেকে ৯৯৫ কোটি টাকা এবং এক্সিম ব্যাংক থেকে বের করে নিয়েছে ৬ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। এসব অর্থ নেয়ার পর আর তা ফেরত দেয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বড় অর্থের জোগানদাতা ব্যাংক খেকো এস আলম দেশের ১১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নামে বেনামে বের করে নিয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ২৯ কোটি টাকা। যদিও এ তথ্য প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে নেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ অঙ্ক বেড়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

আজকের পত্রিকা

আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সরকারের প্রস্তুতির খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি ইউএনওকে না রাখার চিন্তা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ্র নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছে এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এটি সংশোধন হলে নির্বাচন-সংক্রান্ত কমিটির নেতৃত্ব থেকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বাদ দেওয়া হতে পারে। ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা না বাড়িয়ে বিভিন্ন সময় উল্টো কমিয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। আগে জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করতেন ইসির কর্মকর্তারা। কিন্তু আউয়াল কমিশন গত সংসদ নির্বাচনের আগে এ জন্য আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করে। মহানগর ও জেলার জন্য গঠিত ভোটকেন্দ্র-সংক্রান্ত কমিটিতে ডিসি এবং উপজেলা ও থানা পর্যায়ের কমিটিতে ইউএনওদের আহ্বায়ক করা হয়।

সংবাদ

নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের প্রকাশ্যে মিছিল করার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সংবাদও। ‘নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের মিছিল’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর আগে থেকেই ঘোষণা করেছিল কর্মসূচি। চালিয়েছিল প্রচার, প্রচারণাও। আর দুদিন আগে থেকেই হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল পুলিশ যে নিষিদ্ধ সংগঠনকে কোনো কর্মসূচী করতে দেয়া হবে না। তবে গতকাল মিছিলটি ঠেকাতে পারেনি পুলিশ। যেই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয় মিছিল সেখানে ছিলেন জনা দশেক পুলিশ সদস্য।

গতকাল দুপুরে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হওয়া মিছিলের তোড়ে একরকম ভেসে যায় স্বল্প পুলিশের বাধা। মিছিলটি পল্টন হয়ে বিজয়নগরের দিকে যাওয়ার পর পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়া শুরু করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়।

দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসা বিশ্বের বহু দেশে নিষিদ্ধ সংগঠনটি এখন প্রায় প্রকাশ্যেই তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। বায়তুল মোকারমের তাদের গতকাল কর্মসূচি ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়েছে, বিভিন্ন আয়গায় লিফলেটও বিলি করেছে। নিষিদ্ধ এই সংগঠন বায়তুল মোকাররমে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে গত বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ার করেছিল ডিএমপি।

আরও পড়ুন