ইরান-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার আগে তেহরানে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান তেহরানে গিয়ে ইরানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ছবি : এএফপি
সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান তেহরানে গিয়ে ইরানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ছবি : এএফপি

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় দফা আলোচনার আগে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান তেহরানে গিয়ে ইরানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিরসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে এই অঞ্চল ঘিরে সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কা বৃদ্ধির মধ্যেই তেহরানে গেলেন সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার তেহরানে বৈঠকের সময় প্রিন্স খালিদ জানান, তিনি সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের একটি বার্তা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ তিনি লেখেন, “আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।” ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম খামেনির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, “আমাদের বিশ্বাস, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক উভয় দেশের জন্যই উপকারী।”

প্রিন্স খালিদ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী বৈঠকের পর বাঘেরি বলেন, “বেইজিং চুক্তির পর থেকে সৌদি ও ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হচ্ছে।”

সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পারমাণবিক আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তির প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক হামিদরেজা গোলামজাদেহ বলেন, সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফরের উদ্দেশ্য সম্ভবত ইরানের ওপর সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, “সৌদিরা তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে চায় এবং ইরানকে আশ্বস্ত করতে চায় যে তারা ইরানের বিরুদ্ধে হামলা চায় না এবং তারা ইরানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চায়।”

সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই সফর জাতিসংঘের পারমাণবিক নজরদারি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসির ইরান সফরের সাথে মিলে যায়, যিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের হাতে খুব বেশি সময় নেই।

ওমানের মধ্যস্থতায় শনিবার ইতালির রোমে দ্বিতীয় দফা আলোচনার জন্য ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের বসার কথা রয়েছে। এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে প্রথম দফায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসার পর এটিই ছিল দেশদুটির মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের প্রথম আলোচনা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads