যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে মাইলস্টোন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তার বিবিসি বাংলাকে বুধবার জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তিন জন ছাত্রী ও দুই জন অভিভাবকের সন্ধান মেলেনি বলে তাদের পরিবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছে।
এর আগে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত, নিহত, নিখোঁজ শিক্ষার্থী ও অন্যান্যদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করে নাম-ঠিকানাসহ তালিকা তৈরিতে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিলো মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সারাদিন তদন্ত কমিটি কয়েক দফা বৈঠক করেছে বলে জানা গেছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ এমনটি দাবি করলেও শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার পর থেকে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আড়াল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা কম করে হলেও দেশড়’র বেশি।
নিহতের সর্বশেষ সংখ্যা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ২৯ বলা হলেও আইএসপিআর বলছে ৩১ জন।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছে, ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল বা সিএমএইচের মর্গে ছয়টি মৃতদেহ রয়েছে, যাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
যেসব পরিবারের সন্তান বা সদস্য ওই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে, তাদের মালিবাগের সিআইডি ভবনে গিয়ে ডিএনএ ম্যাচিংয়ের উদ্দেশে নমুনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
নমুনা পাওয়া গেলে দ্রুত ডিএনএ ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে, যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ১৩ জনকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করা হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে। একই সাথে নতুন করে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলেও তথ্য দেওয়া হয়।
এর আগে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট জানিয়েছিলো যে সেখানে ভর্তি ৪৪ জনের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা সবাই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মো. নাসির উদ্দিন বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ।
“বার্ন ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ৪৪ জন ভর্তি আছে। এদের মধ্যে আটজন ক্রিটিক্যাল, ১৩ জন সিভিয়ার এবং ২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট অবস্থায় রয়েছেন,” বলেছেন তিনি।
এ সম্পর্কিত আরও খবর: